স্বাধীনতার মাসে জাতীয় পতাকার আদলে ধানক্ষেত গড়লেন শিক্ষক

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: ০৯:০২ এএম, ২৭ মার্চ ২০২৪

কুড়িগ্রামের উলিপুরে জাতীয় পতাকার আদলে ধানক্ষেত করে প্রশংসায় ভাসছেন মো. আবু জাফর (৩৫) নামে এক স্কুলশিক্ষক। আবু জাফর উলিপুর পৌর শহরের নাওডাঙা বাকেরহাট গ্রামের মো. আবু বক্করের ছেলে। তিনি উলিপুর মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

স্বাধীনতার মাসে ধানক্ষেতের মাঝে চারা গাছ দিয়ে ফুটিয়ে তোলা জাতীয় পতাকার প্রতিচ্ছবি দেখতে ভিড় করছে উৎসুক জনতা।

সরেজমিনে দেখা যায়, এক একর ত্রিশ শতক জমিতে ধানচাষ করেছেন আবু জাফর। এরমধ্যে ক্ষেতের এক শতক জমিজুড়ে ফুটিয়ে তুলেছেন জাতীয় পতাকার প্রতিচ্ছবি। জমির আইলের পাশ দিয়ে বেগুনি ধান গাছের চারা রোপণ করে ফুটিয়ে তুলেছেন পতাকার খুঁটি। বিরি-১০৪ জাতের ধানের সবুজ চারাকে পতাকার জমিন ও জিঙ্ক সমৃদ্ধ বেগুনি ধানের চারাকে বৃত্ত ও পতাকার খুঁটিস্বরুপ সারিবদ্ধ ভাবে রোপণ করেছেন তিনি।

প্রথম দিকে ধান গাছের পাতায় সমৃদ্ধ রঙ না আসায় স্পষ্ট চিত্র বোঝা না গেলেও বর্তমানে ধান গাছের পরিপক্কতার কারণে দৃশ্যমান হয়েছে পতাকা। এমন ব্যতিক্রমী ধানক্ষেত দেখতে প্রতিদিন ছুটে আসছেন লোকজন।

স্বাধীনতার মাসে জাতীয় পতাকার আদলে ধানক্ষেত গড়লেন শিক্ষক

আবু জাফর বলেন, আমি শিক্ষকতার পাশাপাশি চাষাবাদ করে থাকি। দেশের প্রতি ভালোবাসা ও মমত্ব প্রকাশে মানুষজন বিভিন্নভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে চায়। তেমনি আমিও চেষ্টা করছিলাম মাত্র। স্বাধীনতার মাসে জাতীয় পতাকার আদলে করা ধানক্ষেতটি দৃশ্যমান হওয়ায় মানুষজনের দেখার আগ্রহ বেড়েছে।

ধানক্ষেত দেখতে আসা মো. মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মানুষজন দেশের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ থেকেই মূলত ব্যতিক্রমী কাজ করে থাকে। আবু জাফর ভাইয়ের জাতীয় পতাকার আদলে করা ধানক্ষেতটি সত্যি প্রশংসনীয়। এমন দৃশ্য দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। এটি দেখে অনেকের মাঝে দেশপ্রেম জাগ্রত হবে বলে জানান তিনি।

কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, একজন কৃষক দেশের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে জমিতে জাতীয় পতাকার আদলে যে শস্যচিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন সত্যিই তা প্রশংসার দাবিদার। কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতায় কৃষি বিভাগ সবসময় পাশে থাকবে।

ফজলুল করিম ফারাজী/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।