মহাসড়কে চাঁদাবাজি, টাঙ্গাইলে দুই কনস্টেবল রিমান্ডে

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)
প্রকাশিত: ০৪:৪৫ পিএম, ২৬ মার্চ ২০২৪

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনে চাঁদাবাজির সময় পুলিশের দুই কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (২৫ মার্চ) তাদের রিমান্ড আবেদন করে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হলে আমলি আদালত মির্জাপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে রোববার (২৪ মার্চ) রাত পৌনে ১০টার দিকে মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের ধেরুয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার মিরিকপুর গ্রামের কৈলা রাজবংশীর ছেলে রিপন রাজবংশী (২৮) ও সিরাজগঞ্জের চৌহালি উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের ময়নাল হকের ছেলে মহসিন মিয়া (৩১)। তারা মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত।

এ ঘটনার পর মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান কনস্টেবল রিপন রাজবংশী ও মহসিন মিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন বলে জানা গেছে।

পুলিশ জানায়, রোববার টাঙ্গাইলের মধুপুরের মমিনপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে রানা মিয়া মধুপুর থেকে পিকআপভর্তি আনারস নিয়ে আশুলিয়ার বাইপাইল আড়তে নামান। রাত ৮টার দিকে পিকআপ নিয়ে মধুপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন। পৌনে ১০টার দিকে পিকআপটি মহাসড়কের ধেরুয়া এলাকায় পৌঁছালে পুলিশের পোশাক পরিহিত দুই কনস্টেবল পিকআপটিকে হাতের ইশারায় থামাতে বলেন। ধেরুয়া ফ্লাইওভার পার হওয়ার পর জনৈক হেলালের মালিকানাধীন ফাঁকা জায়গায় পিকআপটি থামানো হয়।

পিকআপের চালক ও তার সহকারীর কাছে জাল টাকা আছে দাবি করে তাদের গাড়ি থেকে নিচে নামান ওই দুই কনস্টেবল। পরে তারা ভয় দেখিয়ে তাদের কাছে থাকা ১১ হাজার ৫০০ টাকা ছিনিয়ে নেন এবং দেওহাটা ফাঁড়িতে নিয়ে তল্লাশি করার ভয় দেখান। এসময় চালক ও তার সহকারীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এবং পাশেই ডিউটিরত মির্জাপুর থানাধীন দেওহাটা পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করেন।

আটকরা জানান, তারা দুজনই পুলিশের সদস্য এবং মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানায় কর্মরত। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে গ্রেফতার দেখানো হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মোকাম্মেল জানান, গ্রেফতার দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে মির্জাপুর ও দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

এস এম এরশাদ/এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।