গাইবান্ধায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে চার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ০২:৫৪ এএম, ২৩ মার্চ ২০২৪

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে অটোরিকশায় নসিমনের ধাক্কায় আহত আরও একজন মারা গেছেন। শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ নিয়ে এ ঘটনায় নিহত বেড়ে চারজনে দাঁড়িয়েছে।

এর আগে সকালে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে একজন ও বিকেলে রংপুর মেডিকেলে দুইজন মারা যান। এ ঘটনায় আমিরুল ইসলাম (৩৩) নামের আরও একজন গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নিহতরা হলেন- উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের কুমারগাড়ি এলাকার মৃত ভোলা মিয়ার ছেলে আব্দুল মুত্তালিব মিয়া (৫০), একই গ্রামের আব্দুস সাত্তার বুধা শেখের ছেলের সবুজ মিয়া (৩৮), মজিবুর রহমান ছেলে অটোরিকশাচালক আশরাফুল ইসলাম (৩৫) ও আজিজুল হকের ছেলে বেলাল হোসেন (৪৫)।

নিহতদের প্রতিবেশী মোনারুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার গ্রামের মসজিদে ইফতার পার্টি ছিল। ইফতারসামগ্রী কিনতে ওই পাঁচজন বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাতে নাকাইহাটে বাজার করতে যান। পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, বাড়ি থেকে অটোরিকশায় করে নাকাইহাটের দিকে যাচ্ছিলেন তারা। পথে গাইবান্ধা-গোবিন্দগঞ্জ-ভাইয়া নাকাইহাট সড়কের বটতলা এলাকায় পৌঁছালে মাটির পাতিলবোঝাই একটি নসিমনকে ওভারটেক করতে গিয়ে সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশা ও নসিমন খাদে পড়ে পাঁচজন আহত হন।

আরও পড়ুন

আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নেন। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে রাতেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে মুত্তালিব মিয়া ও সবুজ মিয়া এবং সন্ধ্যায় বেলাল হোসেন মারা যান। অটোরিকশাচালক আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে গভীর রাতে মারা যান।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুল আলম শাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে নিহত বেড়ে চারজন হয়েছে। হাসপাতাল থেকে স্বজনরা মরদেহ বাড়িতে নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘাতক নছিমনটি জব্দ করা হয়েছে।

শামীম সরকার শাহীন/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।