বুয়েটে দ্বিতীয় হওয়া হাবিবুল্লাহ কলেজ থেকেই শুরু করেন প্রস্তুতি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নেত্রকোনা
প্রকাশিত: ১১:১৬ এএম, ২১ মার্চ ২০২৪

কলেজে ভর্তির পর থেকেই একাডেমিক পড়ালেখার পাশাপাশি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন হাবিবুল্লাহ খান। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে মেধাতালিকায় দ্বিতীয় হয়েছেন নেত্রকোনার ছেলে হাবিবুল্লাহ।

হাবিবুল্লাহ খানের বাড়ি নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলা সদরে। মো. আবদুল মান্নান খান ও হাবিবা সরকার দম্পতির একমাত্র সন্তান তিনি। পরিবারের সবাই এখন রাজধানীর পল্লবী এলাকায় বসবাস করেন।

আবদুল মান্নান খান আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। আর স্নাতকোত্তর করা হাবিবা সরকার সংসারের সবকিছু সামলান।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, হাবিবুল্লাহ আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলে ভর্তি হয়ে এসএসসি পাস করেন। এরপর নটরডেম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে তিনি ঢাকা বোর্ডে ২১তম হন। এর মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা থেকে এইচএসসিসহ সব পাবলিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে বৃত্তি লাভ করেন হাবিবুল্লাহ।

নিজের সফলতার সূত্রের কথা বলতে গিয়ে হাবিবুল্লাহ খান বলেন, ‘একটি কথা আছে, পরিশ্রম করলে অবশ্যই ভালো ফল পাওয়া যায়। আমার ক্ষেত্রে এ কথাটিই প্রযোজ্য। এছাড়া আমার ওপর সৃষ্টিকর্তার রহমত ছিল। সেজন্য এমন ফলাফল করতে পেরেছি।’

পরিশ্রম ও নিজের প্রতি সৎ হলে সব কাজই সহজ হয় বলে তার ধারণা।

হাবিবুল্লাহর বাবা আবদুল মান্নান খান বলেন, হাবিবুল্লাহর মায়ের ইচ্ছা ছিল ছেলে যেন বুয়েটে মেধা তালিকায় স্থান পায়। ছেলে তার নিজের স্বাধীনতা মতোই লেখাপড়া করুক। মায়ের স্বপ্নই পূরণ হতে যাচ্ছে। বুয়েট ছাড়াও হাবিবুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটে (আইবিএ) ভর্তি পরীক্ষায় পঞ্চম হয়েছেন। সেখানে ভর্তিও হয়েছেন। এছাড়া নেত্রকোনা সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) ভর্তি পরীক্ষায় পঞ্চম ও মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজিতে (এমআইএসটি) ৩২তম হয়েছেন।

আবদুল মান্নান খান বলেন, ছোটবেলা থেকেই হাবিবুল্লাহ ভালো ছাত্র। তাই আমি তাকে পড়ালেখায় কোনো চাপ দিইনি। আমি ও তার মা চাই, আমাদের ছেলে যেন একজন সংবেদনশীল ভালো মানুষ হয়। আর যে পেশায় থাকুক, সে যেন দেশের সেবা করে। মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করে।

হাবিবুল্লাহর মা হাবিবা সরকার বলেন, বুয়েট বা মেডিকেলে চান্স পেতে হলে প্রচুর পড়াশোনা করতে হয়, তাই সব সময় ছেলের পাশে থেকে তাকে লেখাপড়া করতে উদ্বুদ্ধ করেছি। আল্লাহ আমার কথা শুনেছেন। মনে হচ্ছে, আমার স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। ছেলের সাফল্যে আমরা দারুণ খুশি।

এইচ এম কামাল/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।