বৈশাখী উৎসবে তনু হত্যার বিচার দাবি


প্রকাশিত: ০৭:২৬ পিএম, ১৪ এপ্রিল ২০১৬

বাঙালির সার্বজনীন উৎসব পহেলা বৈশাখের (বাংলা- ১৪২৩) অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সবার গন্তব্য ছিল কুমিল্লা নগরীর ঐতিহ্যবাহী ধর্মসাগরের উত্তর ও দক্ষিণ পাড়ে। নানা বয়সী মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয় ধর্মসাগরের উত্তর ও দক্ষিণ পাড়।

কিন্তু বৈশাখী উৎসবে সামিল হতে গিয়ে অনেকেই থমকে দাঁড়িয়েছেন ধর্মসাগরের দক্ষিণ পাড়ে। সেখানে কুমিল্লা মহিলা মহাবিদ্যালয় গেটে কুমিল্লা সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে তনুর বিচার চেয়ে তার ছবি সম্বলিত একটি বিশাল ফেস্টুন টানানো হয়।

এতে লেখা ছিল ‘আমার বোনকে যারা কেড়ে নিলো আমার কাছ থেকে, আমার বোনকে যারা কেড়ে নিলো মায়ের কোল থেকে, তাদের বিচার চাই, বিচার করতে হবে, ফাঁসি চাই, ফাঁসি দিতে হবে।

আমরা জোৎস্নার প্রতিবেশী নামের অপর একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে নববর্ষে ‘তনুর জন্য ভালোবাসা’ শিরোনামে একটি ফেস্টুনে লেখা হয়, ‘তনু আমার কন্যা, তনু আমার চোখের ভেতর অহর্নিশ কান্না। বুকের ভেতর স্নেহমাখা ভালোবাসার বন্যা, বুটের নিচে চাপাপড়া- শোকাহত কান্না।’

তনুর বিচার চেয়ে টানানো এ দুটি ফেস্টুন দিনভর হাজার হাজার লোকের দৃষ্টি কেড়েছে। সাংস্কৃতিক জোটের কর্মীরা জানান, তনু দীর্ঘদিন সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যুক্ত ছিলেন, তাই তার এ মৃত্যু আমরা মেনে নিতে পারছি না, তার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা বিচারের দাবি আদায়ে সোচ্চার থাকবো।

এদিকে সাংস্কৃতিক জোটের আলোচনা সভায় বিশিষ্ট লেখক ও সাহিত্যিক শান্তনু কায়সার ও জোটের সভাপতি জহিরুল হক দুলাল জানান, তনু হত্যা মামলা প্রায় ১ মাসের কাছাকাছি চলে যাচ্ছে, এখনো মামলার কোনো রহস্য বের করতে পারেনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা, আমরা এ বিষয়ে সরকারের সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা দেখতে চাই।

মো. কামাল উদ্দিন/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।