পাবনায় সর্বহারা পার্টির সাবেক নেতাকে গুলি করে হত্যা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পাবনা
প্রকাশিত: ০৮:৪০ এএম, ১৮ মার্চ ২০২৪

পাবনা জেলা সদরের অদূরে গয়েশপুরে চরমপন্থি দলের সাবেক এক নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (১৭ মার্চ) রাত ১১টার দিকে উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের মানিকনগর বাজার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আব্দুর রাজ্জাক শেখ (৩৮) গয়েশপুর ইউনিয়নের হরিনারায়ণপুর গ্রামের মৃত আজিজুল শেখের ছেলে। তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থি সংগঠন সর্বহারা পার্টির আঞ্চলিক নেতা ছিলেন। ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল পাবনায় শহীদ আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে ৫৯৫ জন চরমপন্থির সঙ্গে তিনি আত্মসমর্পণ করেছিলেন। কিন্তু তারপরও তিনি নিষিদ্ধ পার্টির সঙ্গে সক্রিয় ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানান।

স্থানীয়রা জানান, তারাবি নামাজের পর চায়ের দোকানে আড্ডা দেওয়ার জন্য মানিকনগর বাজারে যান আব্দুর রাজ্জাক। ওই সময় দুটি মোটরসাইকেলযোগে ৫-৬ জন মুখোশধারী যুবক এসে তাকে উদ্দেশ্য করে পর পর তিন রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করেন। এরপর তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা আরও জানান, গয়েশপুর ইউনিয়ন এক সময় চরমপন্থীদের অভয়ারণ্য ছিল। মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে বিষিয়ে তুলেছিল চরমপন্থীরা। সে সময় আব্দুর রাজ্জাক চরমপন্থি দলের দুর্ধর্ষ নেতা ছিলেন। ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল তিনি সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু তার সঙ্গে চরমপন্থীদের যোগাযোগ থেকেই গিয়েছিল। স্থানীয়দের ধারণা পূর্বশত্রুতার জের ধরে তাকে খুনা করা হয়েছে।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নিহত আব্দুর রাজ্জাক নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থি সংগঠন পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টির নেতা ছিলেন। ২০১৯ সালে পাবনা জেলা স্টেডিয়ামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন।

তিনি জানান, ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে রোববার রাতেই পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

আমিন ইসলাম জুয়েল/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।