চতুর্থ সন্তানও কন্যা, এক লাখ টাকায় বিক্রি করেন বাবা
তিন কন্যার পর চতুর্থবারও কন্যা হওয়ায় মাত্র এক লাখ টাকার বিনিময়ে নবজাতককে বিক্রি করে দেন বাবা। এ ঘটনা ঘটেছে পটুয়াখালী পৌর শহরের অ্যাপোলো হাসপাতালে। এ ঘটনায় নবজাতকের বাবা এবং অ্যাপোলো হাসপাতালের নার্স লাইজুকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ।
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার নিজাবাদ গোপালদী গ্রামের নিবাসী ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার হানিফ মৃধার স্ত্রী শাহনাজ বেগমের প্রসব বেদনা উঠলে ৩ মার্চ সকাল ৮টার দিকে তাকে পটুয়াখালী অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করেন। বিকেলে সিজারে তাদের একটি ফুটফুটে কন্যাসন্তান জন্ম হয়। এর আগেও শাহনাজ বেগম তিন কন্যার জন্ম দেন। এবারও কন্যাসন্তান। তাই চতুর্থ কন্যাসন্তানের দায় এড়াতে এবং আর্থিক লাভবান হতে হানিফ অ্যাপোলো হাসপাতালের নার্স লাইজু বেগমের সঙ্গে যুক্তি করে এক লাখ টাকার বিনিময়ে সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া কন্যাসন্তানকে বিক্রি করে দেন।
শিশুটির মা শাহনাজ বেগম জানান, বারবার নার্স লাইজু বেগমের কাছে আমার সন্তান কোথায় জানতে চাইলে তিনি জানান বাচ্চা অসুস্থ, চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমি সন্তানকে ফিরে পেয়েছি। আমার স্বামীসহ যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিচার চাই।
লাইজু বেগম (নার্স) বলেন, পরপর চার মেয়ে সন্তান হওয়ার কারণেই হানিফ মৃধা তার কন্যাকে বিক্রি করেছেন। তিনি আমাকে অনুরোধ করে এ কাজ করিয়েছেন।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম জানান, শাহনাজ বেগমের অভিযোগ এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পটুয়াখালী ব্রিজের ওপর থেকে বাচ্চাসহ লাইজু বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হওয়া নবজাতককে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আব্দুস সালাম আরিফ/জেএইচ