বগুড়ায় গাফ্ফার চৌধুরীর মামলা খারিজ
বগুড়ায় বিশিষ্ট কলামিষ্ট, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে জেলা ছাত্রদলের সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট একেএম জাহিদ মনি ২নং সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন। বিকেলে বিচারক ফেরদৌস ওয়াহিদ মামলাটি খারিজ করে দেন।
বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছেন, তিনি বগুড়া আইনজীবী সমিতির সদস্য, মানবাধিকার কর্মী ও জেলা ছাত্রদলের সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক। আসামি আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও কলাম লেখক প্রতিহিংসা পরায়ন, মিথ্যাবাদী, পরনিন্দাকারী। তারেক রহমান দেশের স্বাধীনতার ঘোষক প্রথম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে এবং বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান। আসামি ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ এবং তারেক রহমানের ব্যক্তি ইমেজ ও রাজনৈতিক সুনাম বিনষ্ট এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার কুউদ্দেশ্যে ‘তারেক রহমান একজন জীবন্ত উম্মাদ। তাকে অর্ধউম্মাদ বললেও সম্মান করা হবে। এই উম্মাদ অবস্থাতেই তার শেষ পরিণতি ঘটবে।’ গত ১৭ ডিসেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে এম মতবিনিময় সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন। ওইদিন দুপুরে বগুড়া শহরের নবাববাড়ি সড়কে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে ইন্টারনেটে একটি অনলাইন দৈনিকে এ ব্যাপারে অবগত হন। এতে তারেক রহমান অর্থাৎ আমার দল বিএনপির মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। আসামির উক্ত অসত্য বিভ্রান্তিকর উদ্ধৃতির কারণে বিএনপি অর্থাৎ আমার ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এমন কাজ করে আসামি দণ্ডবিধির ৫০০ ধারার অপরাধ করেছেন।
তিনি আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করে তাকে পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার করে জেল হাজতে রাখতে এবং প্রমাণ গ্রহণান্তে উপযুক্ত দণ্ডদানে সুবিচার করতে অনুরোধ জানান।
বাদী পক্ষে অ্যাডভোকেট এনামুল হক পান্না শুনানিতে অংশ নেন। আদালত সূত্র জানায়, গ্রহণযোগ্যতা না থাকায় বিকেলে বিচারক মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন।