তিন সাঁওতাল হত্যা: ফের পেছালো নারাজি শুনানির আদেশ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ০৮:৩৭ এএম, ১৩ মার্চ ২০২৪

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আলোচিত তিন সাঁওতাল হত্যা মামলার নারাজির ওপর শুনানির আদেশ ফের পিছিয়েছে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হাসানের বিচারিক আদালত শুনানি শেষে আদেশ না দিয়ে পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

আইনজীবী ফয়জুল আলম রনন জানান, মামলাটি নারাজির পর বেশ কয়েকবার শুনানি হয়েছে। ১২ মার্চ আদেশের দিন ধার্য করেন আদালত। কিন্তু এদিন আদেশ না দিয়ে পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত।

এদিকে একইদিন বিকেলে সাঁওতাল হত্যার বিচার, বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, লুটপাটসহ সাত দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি পুনরুদ্ধার সংগ্রাম কমিটির আয়োজনে গোবিন্দগঞ্জ আদালতের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এর আগে মাদারপুর, জয়পুরপাড়া গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যানার, ফেস্টুন ও পতাকা হাতে নারী-পুরুষ বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন।

তিন সাঁওতাল হত্যা: ফের পেছালো নারাজি শুনানির আদেশ

সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি পুনরুদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ডা. ফিলিমন বাস্কের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সহসভাপতি সুফল হেমব্রম, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মাস্টার, সহসম্পাদক ময়নুল ইসলাম, আজমল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ প্রিসিলা মুরমু, আদিবাসী নেত্রী সুচিত্রা তৃষ্ণা মুরমু, মামলার বাদী থমোস হেমব্রম প্রমুখ।

সভাপতি ডা. ফিলিমন বাস্কে বলেন, দিনে দুপুরে তিনটি মানুষকে হত্যা করা হলো, অথচ সাত বছরেও একজন আসামিকেও গ্রেফতার করা হয়নি। আসামিরা প্রকাশ্যে তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের ভয়ে সাঁওতালরা ঘরের বাইরে যেতে ভয় পান। অনতিবিলম্বে হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। নয়তো বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে সাঁওতালরা।

২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর তিন সাঁওতাল হত্যার ঘটনায় ওই বছর ২৬ নভেম্বর থমোস হেমব্রম বাদী হয়ে ৩৩ জনের নামে এবং অজ্ঞাত ৫০০-৬০০ জনকে আসামি করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। পিবিআইকে মামলা তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। তদন্ত শেষে মূল আসামিদের বাদ দিয়ে ২০১৯ সালের ২৩ জুলাই ৯০ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দেয় পিবিআই। এ চার্জশিট প্রত্যাখ্যান করে ৪ সেপ্টেম্বর এমপি আবুল কালাম আজাদসহ ১১ জনের নামে নারাজি দেন বাদী থমোস হেমব্রম। পিটিশন আমলে নিয়ে ওই বছরের ২৩ ডিসেম্বরে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। একইভাবে ২০২০ সালের ২ নভেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দেয় সিআইডি। এরই প্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ৪ জানুয়ারি সিআইডির অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নারাজি দেন বাদী।

শামীম সরকার শাহীন/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।