ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচন
মাঠে ১১ ম্যাজিস্ট্রেটসহ র্যাব-বিজিবির বিশেষ টহল
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১১ ম্যাজিস্ট্রেটসহ বিপুল পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। করপোরেশনের ১২৮টি কেন্দ্রের ৯৯০টি কক্ষে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনেসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। নির্বাচনে পাঁচ মেয়রসহ ২২৩ প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে মাঠে রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৩৪ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ ইভিএম বুঝিয়ে দেওয়া হয়। দেড় হাজার ইভিএম মেশিনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রায় ৫০০ ইভিএম মেশিন অতিরিক্ত রাখা হয়েছে। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে যাতে ভোট বিলম্ব না হয় সে কারণে বাড়তি ইভিএম রাখার কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, নির্বাচন সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। বড় ধরনের কোনো সংঘাতের আশঙ্কা দেখছি না। আচরণবিধির ক্ষেত্রে কমিশন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। যদিও ৫০ কেন্দ্রকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হয়েছে।
সাধারণ কেন্দ্রগুলোতে পুলিশ ও আনসার মিলে ১৬ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে ১৯ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া আছে মোবাইল টিম, স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে পুলিশ, এপিবিএন, আনসার ব্যাটালিয়ন, বিজিবি ও র্যাব।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১১ জন ম্যাজিস্ট্রেট মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। এক হাজার ৫৩৬ জন আনসার, ৭ প্লাটুন বিজিবি, ১৭ টিম র্যাব কাজ করবে। সবার অংশগ্রহণে সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে ৫ মেয়রপ্রার্থী ছাড়াও নগরের ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৯ এবং ১১টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী আছেন ৬৯ জন। একটি ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ায় ৩২ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদের নির্বাচন হবে।
সিটিতে মোট ভোটার রয়েছেন ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৬ জন। ২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর ময়মনসিংহকে সিটি করপোরেশন ঘোষণার গেজেট হয়। পরের বছর ৫ মে ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করে তপসিল ঘোষণা করেছিল ইসি। যদিও সিটির প্রথম ভোটে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হন ইকরামুল হক টিটু। ওই ভোটে কেবল কাউন্সিলর পদগুলোতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
মঞ্জুরুল ইসলাম/এমএস