কুড়িয়ে পাওয়া ককটেল বিস্ফোরণে শিশুর কবজি বিচ্ছিন্ন
যশোরের মনিরামপুরে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা ককটেল নিয়ে খেলার সময় বিস্ফোরণে আরজু (১০) নামের এক শিশুর কবজি বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এছাড়া মাইমুন মেহেদী (৪) নামের অপর শিশুর নাভি হতে চোখ পর্যন্ত ক্ষতবিক্ষত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে উপজেলার ফতেয়াবাদ গ্রামের পরিত্যক্ত একটি ঘরে এ ঘটনা ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় পুলিশ পরিত্যক্ত ঘর থেকে ৯টি বোমা জব্দ করে।
পুলিশ জানায়, ফতেয়াবাদ গ্রামের ওহিদুল ইসলামের বসতভিটায় চার কক্ষের একটি আধাপাকা পরিত্যক্ত ঘর রয়েছে। ওহিদুল সেখানে থাকেন না। প্রতিবেশী আসলাম হোসেন রান্নার জ্বালানি রাখার কাজে ঘরটি ব্যবহার করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে আসলাম হোসেনের স্ত্রী ফাতেমা বেগম নিজের ছেলে আরজু ও প্রতিবেশী বাবলুর ছেলে মেহেদীকে নিয়ে সেই ঘরে জ্বালানি রাখার জন্য যান। তখন আরজু ও মেহেদী ঘরে ঢুকে খেলা করার সময় একটি লাল স্কচটেপে মোড়ানো ছোট খেলনা সদৃশ বস্তু পায়। তারা সেটি নিয়ে খেলার উদ্দেশে নাড়াচাড়া করলে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আরজুর ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ও মাইমুন মেহেদীর নাভি হতে চোখ পর্যন্ত ক্ষতবিক্ষত হয়। শব্দ শুনে স্বজনরা এগিয়ে গিয়ে দুই শিশুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসক তাদের যশোর সদর হাসপাতালে পাঠান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক কর্মকর্তা অনুপ বসু বলেন, স্বজনরা বোমা বিস্ফোরণের কথা স্বীকার করেননি। তারা বলেন, চার্জার ব্যাটারি বিস্ফোরণে দুই শিশু আহত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শিশু আরজুর ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আর মাইমুন মেহেদীর নাভি হতে চোখ পর্যন্ত ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ওসি মেহেদী মাসুদ বলেন, এঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি।
মিলন রহমান/এএইচ/জেআইএম