প্রকৌশলীর অসদাচরণে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী মোজাম্মেল হোসেনসহ দুই উপসহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে শ্রমিকদের সঙ্গে অসদাচরণ, অশালীন ভাষায় গালিগালাজসহ হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিযুক্ত প্রকৌশলীর দাবি, ঠিকাদারকে অগ্রিম বিল না দেওয়ায় শ্রমিকদের দিয়ে আন্দোলন করাচ্ছেন তিনি। ওই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে একটি জিডিও করা হয়েছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে উপজেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে পৌরশহরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার সকল নির্মাণ শ্রমিক কর্মবিরতি দিয়ে এসব কর্মসূচি পালন করেন। পৌরশহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকার উপজেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। পরে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নতুন বাসস্ট্যান্ডে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন, উপজেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা আব্দুর রাজ্জাক, সভাপতি আনার খাঁ ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা।
উপজেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আনার খাঁ বলেন, আমাদের শ্রমিকরা সারা বছরই উপজেলার বিভিন্ন ঠিকাদারদের কাজ করে থাকে। আমাদের কাজে কোনো ভুল-ত্রুটি হলে ইঞ্জিনিয়ার স্যাররা বুঝিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু তা না করে কাজ তদারকি করতে গিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোজাম্মেল হোসেন, উপসহকারী প্রকৌশলী সজল রেজা ও মাহফুজুর রহমান শ্রমিকদের সঙ্গে প্রায় সময়ই অসদাচরণ করেন। শ্রমিকদের মা-বাবার নাম ধরে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন। তাই তাদের বিরুদ্ধে উপজেলার সকল নির্মাণ শ্রমিক মিলে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছি।
তবে এ নিয়ে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী মোজাম্মেল হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি শ্রমিকদের সঙ্গে অসদাচরণের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ঠিকাদার রিয়াজ উদ্দিন শ্রমিকদের দিয়ে এই বিক্ষোভ করিয়েছেন। তিনি উপজেলা কমপ্লেক্সের ৫ কোটি ৬২ টাকার সংস্কার কাজ করছেন। উনি কাজ না করেই বিল নিতে বারবার চাপ দিচ্ছিলেন। বিল না দেওয়ায় আমাদের সহকর্মীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন। এ ঘটনায় থানায় একটি জিডিও করা হয়েছে।
জানতে চাইলে ঠিকাদার রিয়াজ উদ্দিন বলেন, শ্রমিকদের আন্দোলনের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি কাজ করছি, বিল চেয়েছি। তিনি বিল রেডিও করেছেন। ইউএনও নেই। তাই বিল দিতে পারেননি। আমি বরং শ্রমিকদের আন্দোলন করতে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু তারা তা মানেনি।
এইচ এম কামাল/এফএ/জেআইএম