দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীর গুলি
স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে মারা গেলেন অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীও
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাংলাদেশি দম্পতি মহিন উদ্দিন ভূঁইয়া (৩৫) ও তার গর্ভবতী স্ত্রী রুনা (২৫) নিহত হয়েছেন। রোববার (৩ মার্চ) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১২টার দিকে জোহানসবার্গ শহরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মহিন উদ্দিন ভূঁইয়া নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মানিকপুর গ্রামের মো. হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে। রুনা একই উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের মো. লিটনের মেয়ে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বার জানান, রোববার মহিন সপরিবারে লেনেসিয়ায় এক বান্ধবীর বাসায় দাওয়াত খেয়ে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাসার সামনে এলে আগে থেকে ওঁতপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে। এ সময় মহিনকে বাঁচাতে গেলে সন্ত্রাসীরা তার গর্ভবতী স্ত্রী রুনাকেও গুলি করে। আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ভাগ্যক্রমে গাড়িতে থাকা তাদের দুই শিশু সন্তান বেঁচে যায়।
মহিনের বাবা মো. হোসেন ভুঁইয়া বলেন, পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে মহিন সবার বড়। সে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যবসা করে আসছে। পাঁচ বছর আগে স্ত্রী রুনাকে এবং পরপর তার আরও দুই ভাইকেও সেখানে নিয়ে যায়। এখন আমার সব শেষ হয়ে গেছে। আমার ছেলে ও ছেলের বউকে কারা গুলি করলো, কেন করলো, আমরা এর বিচার চাই।
খবর পেয়ে মহিনের গ্রামের বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনরা ভিড় করছেন। সোমবার সকাল থেকে তাদের বাড়িতে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। মহিন ও তার স্ত্রীর মরদেহ দেশে আনার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান নিহতের ছোট ভাই মো. মফিজ ভূঁইয়া।
সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিসান বিন মাজেদ বলেন, প্রবাসে কেউ মারা গেলে মরদেহ দেশে আনা এবং দাফন করার জন্য একটি ওয়েজবোর্ড আছে। আমরা সেই ওয়েজবোর্ডের মাধ্যমে তাদের মরদেহ আনার ব্যবস্থা করবো।
ইকবাল হোসেন মজনু/এফএ/জেআইএম