বেইলি রোডে আগুন
দেশে ফিরে স্ত্রী-মেয়ের মরদেহ গ্রহণ করলেন ইঞ্জিনিয়ার উত্তম
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি হবিগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৫:২৯ পিএম, ০২ মার্চ ২০২৪
দেশে ফিরে স্ত্রী ও মেয়ের মরদেহ গ্রহণ করেছেন পোল্যান্ড প্রবাসী ইঞ্জিনিয়ার উত্তম কুমার রায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপালের হিম ঘর থেকে শনিবার (২ মার্চ) সকলে তিনি স্ত্রী ও মেয়ের মরদেহ গ্রহণ করেন। পরে দুপুরে তাদের মরদেহবাহী গাড়ি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের বানেশ্বরপুর গ্রামে পৌঁছে। এসময় পুরো এলাকার মানুষ ভিড় জমায়। বিকেলে তাদের সৎকার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম ফয়সাল বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। জরুরি কাজ থাকার যেতে পারিনি। তবে ইউপি চেয়ারম্যানকে উপস্থিত থাকতে বলেছি।
মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ বলেন, এটি খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। অকালে দুটি প্রাণ চলে গেলো। এতে আমরা মর্মাহত। ওই পরিবার যাতে শোক সইতে পারে আমরা সে দোয়া করি।
জানা গেছে, পোল্যান্ড প্রবাসী উত্তম কুমার রায়ের মেয়ে বিভাঙ্কা রায় ঢাকার গ্রেটওয়ে ইন্টারল্যাশনাল স্কুলের এ লেভেলের শিক্ষার্থী। তিনি তার মা ফিলিপাইন নাগরিক রুবি রায়ের সঙ্গে ঢাকার মালিবাগে থাকতেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বেইলি রোডের ‘কাচ্চি ভাইয়ে’ খেতে গিয়েছিলেন মা ও মেয়ে। খাবার শেষে বাসায় ফেরার কথা থাকলেও সেটি আর সম্ভব হয়নি। আগুনে পুড়ে মারা যান তারা।
শনিবার ভোররাতে দেশে ফিরেন পোল্যান্ড প্রবাসী উত্তম রায়। দেশের মাটিতে নেমেই ভাগ্নে অনয় রায়কে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে যান। সেখান স্ত্রী সন্তানের মরদেহ সনাক্ত করেন। পরবর্তীতে মরদেহ বুঝে নিয়ে দুপুরে লাশবাহী গাড়িতে করে গ্রামে ফেরেন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মা ও মেয়ের অন্তেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এএইচ/জেআইএম