কুসিক উপনির্বাচন
সাক্কুর উঠান বৈঠকে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক দুইবারের মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর উঠান বৈঠকে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় কাউন্সিলর সাইফুল বিন জলিল ও আওয়ামী লীগ নেতাদের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি সাক্কুর।
শুক্রবার (১ মার্চ) বিকালে নগরীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাটাবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গদারমার কলোনিতে হামলার ঘটনা ঘটে।
মেয়র প্রার্থী সাক্কু সমর্থকদের অভিযোগ, সন্ধ্যা ৬টায় গদারমার কলোনিতে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এ জন্য সেখানে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়। বিকাল ৫টার দিকে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল বিন জলিলের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে।
সিটি নির্বাচনে তিনি বাস প্রতীকের প্রার্থী কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসিন বাহার সূচনার পক্ষে কাজ করছেন বলে জানা গেছে।
মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু বলেন, উঠান বৈঠক শুরুর আগে কাউন্সিলর সাইফুলের নেতৃত্বে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমার মঞ্চ ও চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে। এছাড়াও নেতাকর্মীদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। আমার বিজয় সুনিশ্চিত জেনে বাস প্রতীকের সমর্থকরা এ হামলা চালিয়েছে।
হামলার বিষয়ে কাউন্সিলর সাইফুল বিন জলিল বলেন, ভাঙচুরের সময় তাহসিন বাহার সূচনার প্রচারে ছিলাম। তখন জানতে পারি, সাক্কু ও কায়সারের সমর্থকদের মধ্যে সেখানে মারামারি হয়েছে। আমি এই হামলা ও ভাঙচুরের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনোভাবে জড়িত নই।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৯ মার্চ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএমে) মাধ্যমে কুমিল্লা সিটিতে মেয়র পদে ভোটগ্রহণ হবে। এতে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দুজন এবং সাক্কুসহ বিএনপির সাবেক দুই নেতা অংশ নিয়েছেন।
জাহিদ পাটোয়ারী/এএইচ/এএসএম