মৃত্যুই বেইলি রোডে ডেকে নিয়ে যায় কাস্টমস কর্মকর্তা শাহ জালালকে
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার
প্রকাশিত: ১২:২৭ পিএম, ০২ মার্চ ২০২৪
মৃত্যুই বেইলি রোডে ডেকে নিয়ে যায় কাস্টমস কর্মকর্তা শাহ জালাল উদ্দিনের (৩৫) পরিবারকে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে সেখানকার গ্রিন কোজি কটেজে লাগা অগ্নিকাণ্ডে স্ত্রী-সন্তানসহ মারা যান তিনি। পরে শুক্রবার জালালের শ্বশুর মোক্তার হোসেন হেলালী মরদেহ শনাক্ত করেন।
শাহ জালাল উদ্দিন কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেমের ছেলে। তার স্ত্রী মেহেরুন নেসা হেলালী মিনা (২৪) এবং মেয়ে ফাহিরুজ কাশেম জামিলাকে (৪) নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল।
শাহজালাল ৩৫ তম বিসিএস (নন ক্যডার) সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (ব্যাচ১৭) হিসেবে কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট নারায়ণগঞ্জ অফিসে কর্মরত ছিলেন।
নিহতের চাচাতো ভাই সাংবাদিক এএইচ সেলিম উল্লাহ জানান, শাহ জালাল উদ্দিন নারায়ণগঞ্জ কাস্টমস অফিসের রেভিনিউ কালেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে তারা বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে ডিনার করতে যান। এসময় অগ্নিকাণ্ডে স্ত্রী ও সন্তানসহ তার মৃত্যু হয়।
জালালের শ্বশুর মোক্তার হোসেন হেলালী গণমাধ্যমে বলেন, মেয়ের জামাই শাহ জালাল দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের পোর্টে কাস্টম ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দুদিনের ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়ি কক্সবাজার যাওয়ার জন্য ঢাকায় আসেন। গ্রিনলাইন বাসের টিকিটও কাটেন। বাসে ওঠার আগে পুরো ফ্যামিলি নিয়ে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে খেতে যান। এরপর তারা আর জীবিত ফিরে আসেনি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পোশাক দেখে তাদের শনাক্ত করেন করি।
হলদিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, মরদেহ শুক্রবার রাতে ঢাকা থেকে স্বজনরা রওনা দিয়েছেন। তাদের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে নারী-শিশুসহ ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ৪১ জনের মরদেহ শনাক্ত হয়েছে। পরিচয় নিশ্চিত হয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে ৩৮টি মরদেহ।
সায়ীদ আলমগীর, কক্সবাজার/আরএইচ/এমএস