যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন
বগুড়ায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার ১১ বছর পর আসামি শামীম প্রামাণিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর এ রায় দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত শামীম জেলার শেরপুর উপজেলার দক্ষিণ আমইন এলাকার বাসিন্দা। একই মামলায় শামীমের বাবা-মাসহ অপর তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আশেকুর রহমান সুজন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালে শামীমের সঙ্গে নাজিরা খাতুন নামের এক নারীর বিয়ে হয়। বিয়ের সময় নাজিরার বাবা ইউসুফ আলী মেয়ের জামাইকে দেড় লাখ টাকা ও দুই ভরি সোনা দেন। ওই সময় তিনি আরও ৫০ হাজার টাকা এক বছরের মধ্যে দেওয়ার দাবি জানান। এ টাকার জন্য স্ত্রী নাজিরাকে প্রায়ই মারধরসহ শারীরিক নির্যাতন করতেন শামীম।
২০১৩ সালের ৫ মে যৌতুকের আরও ৫০ হাজার টাকা আনার জন্য নাজিরাকে চাপ দেন। টাকা আনতে অস্বীকার করলে কাঠের খড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে নাজিরাকে হত্যা করেন শামীম।
পরে ওইদিন রাতেই নাজিরার বাবা ইউসুফ আলী বাদী হয়ে মেয়ে জামাই শামীম, তার বাবা-মাসহ চারজনের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে শামীমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত। বাকি অপর তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
এসআর