একটি সেতুর জন্য ১০ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বাগেরহাট
প্রকাশিত: ০৯:১০ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি সেতুর জন্য ১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। স্থানীয়রা সুপারি গাছ দিয়ে দীর্ঘদিন সেতুটি ব্যবহার করলেও প্রায় পাঁচমাস ধরে এটি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ায় ভোগান্তি আরও বেড়েছে। তবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর বলছে বরাদ্দ না থাকায় নতুন করে নির্মাণ করা যাচ্ছে না সেতুটি।

সরোজমিনে দেখা যায়, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার চিংড়াখালী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম চন্ডিপুর। এ গ্রামের দাউরা খালের উপর নির্মিত আয়রন সেতুটি ভেঙে যায় প্রায় সাড়ে চার বছর আগে। এরপর গ্রামবাসী সুপারি গাছ দিয়ে সেতুটি মেরামত করে ব্যবহার করে। যাতায়াতের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় সেসময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই সেতু দিয়ে বাধ্য হয়ে পার হতেন চন্ডিপুর, পূর্ব চন্ডিপুর, বড় জামুয়া, ছোট জামুয়া, কাছিকাটা, চড়গোপালপুরসহ ১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। তবে গত পাঁচমাস ধরে সেতুটি পুরোপুরি ভেঙে যায়। এরপর থেকে নৌকায় করে খাল পার হচ্ছেন দুই পাড়ের বাসিন্দাসহ স্কুল ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। এতে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ নারী ও শিশুরা। এমন অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।

চন্ডিপুর গ্রামের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী আমেনা খাতুন বলেন, সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় অনেক ভোগান্তি। নৌকায় করে খাল পার হওয়ার সময় ভয় লাগে। কিছুদিন আগে আমাদের এক বন্ধু নৌকা থেকে পড়ে যায়। পরে মাঝি তাকে উদ্ধার করে।

একই গ্রামের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সজিব জোমাদ্দার বলেন, অনেক সময় নৌকা পাওয়া যায় না। তখন বাধ্য হয়ে সাঁতার দিয়ে খাল পার হতে হয়।

একটি সেতুর জন্য ১০ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি

পূর্ব চন্ডিপুর গ্রামের বাসিন্দা আসলাম শেখ বলেন, সেতুটির জন্য আশপাশের ১০ গ্রামের হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পর গ্রামবাসী চাঁদা তুলে সুপারি গাছ দিয়ে কোনো মতে মেরামত করে ব্যবহার করতে থাকি। কিন্তু সেটাও ভেঙে যাওয়ায় নৌকা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জামাল শেখ বলেন, দাউরা খালের উপর সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ভেঙে রয়েছে। বিষয়টি চেয়ারম্যান, ইউএনওসহ সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি। কিন্তু কারও কোনো মাথা ব্যাথা নেই। সেতুটির জন্য হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তিতে রয়েছে। দ্রুত সেতুটি মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানাই।

বাগেরহাট স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শরিফুজ্জামান বলেন, সেতুটি নতুন করে নির্মাণে মাটি পরীক্ষাসহ আনুসাঙ্গিক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে বরাদ্দ না হওয়ায় নির্মাণ করা যাচ্ছে না। বরাদ্দ পেলে আগামী অর্থ বছরে সেতুটি নির্মাণ করা হবে।

এএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।