পদ্মার চরে আটকে গেছে পাথরবোঝাই জাহাজ, আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চাঁপাইনবাবগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৫:১৩ এএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মা নদীর হাকিমপুর চরে ১৮৩ টন পাথরবোঝাই একটি জাহাজ আটকে পড়েছে। জাহাজটি ভারতের ময়া থেকে রাজশাহীর সুলতানগঞ্জ আসছিল। এ ঘটনায় ৯ দিন ধরে ময়া-সুলতানগঞ্জের নৌপথের পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিআইডব্লিউটিএর ক্রয় ও সংরক্ষণ বিভাগের পরিচালক রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পাথরবোঝাই ‘এমভি আতিয়া’ জাহাজটি রওয়ানা হয় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি। মেঘনা ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে এ পাথর আমদানির এলসি খোলেন মনিরুজ্জামান নামের এক ব্যবসায়ী। কিন্তু সুলতানগঞ্জ ঘাট থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশ সীমান্তে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মা নদীর হাকিমপুর চরে এসে জাহাজটি আটকা পড়ে। এতে এই নৌপথ দিয়ে কোনো জাহাজ চলাচল করতে পারছে না।

আমদানিকারক মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এ ধরনের জাহাজ চলাচলের জন্য পানির গভীরতা কমপক্ষে সাত ফুট হতে হয়। কিন্তু হাকিমপুর চর এলাকায় পানির গভীরতা আছে সাড়ে চার ফুটের মতো। এ কারণে পাথরবাহী জাহাজটি আটকে যায়। ওই জাহাজের পাথর বিকল্প উপায়ে আনতে ২০ ফেব্রুয়ারি সোনামসজিদ স্থলবন্দরের উপ-কাস্টমস কমিশনারের কাছে লিখিত আবেদন করেছি। তবে এখনো কোনো সাড়া পাইনি।’

এ বিষয়ে সোনামসজিদ স্থলবন্দরের কাস্টমস বিভাগের উপ-কমিশনার নুর উদ্দিন মিলন বলেন, পণ্যবাহী জাহাজ লোড-আনলোডের সিদ্ধান্ত দেওয়ার এখতিয়ার আমার নেই। তাদের আবেদনের পর রাজশাহীর কাস্টমস কমিশনারের কার্যালয় থেকে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিআইডব্লিউটিএর ক্রয় ও সংরক্ষণ বিভাগের পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, এ নৌপথের একটি অংশে সামান্য নাব্য সংকট রয়েছে। পানির গভীরতা সাড়ে পাঁচ ফুটের বেশি লাগে এমন জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল। আমদানিকারক সম্ভবত সেই নির্দেশনা মানেননি। তারপরও বিষয়টি আমরা দেখছি।

ময়া-সুলতানগঞ্জের নৌপথে জাহাজ চলাচল এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে আছে। আপাতত তিনটি জাহাজ চলাচল করে। এরমধ্যে একটি আটকা পড়েছে। বাকি দুটির মধ্যে একটি ময়ায়, আরেকটি আছে সুলতানগঞ্জে। আটকে পড়া জাহাজটি ঘাটে ফিরলে ফের চলাচল স্বাভাবিক হবে।

সোহান মাহমুদ/এসআর

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।