জাতীয় গ্রিডে যোগ হলো হবিগঞ্জের ১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস
হবিগঞ্জের রশিদপুর গ্যাসফিল্ডে নতুন কূপের গ্যাস সঞ্চালন উদ্বোধন করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এ কূপের উদ্বোধনের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে নতুন করে যুক্ত হলো আরও ১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ গ্যাসকূপের উদ্বোধন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া, জেলা প্রশাসক মোছা. জিলুফা সুলতানা প্রমুখ।
‘রশিদপুর-১১ নম্বর কূপ (অনুসন্ধান কূপ) খনন’ নামের এ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ২৩৩ কোটি টাকার বেশি। শুরুতে এ প্রকল্পে গ্যাস উন্নয়ন তহবিল (জিডিএফ) থেকে ৯৫ শতাংশ এবং কোম্পানির নিজস্ব তহবিল থেকে বাকি পাঁচ শতাংশ অর্থায়নের কথা থাকলেও এটি বাস্তবায়ন করা হয় সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে (জিওবি)।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গতবছরের ১২ মে রশিদপুর অনুসন্ধান কূপ-১১ খনন করতে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) প্রণয়ন করে অনুমোদনের জন্য পেট্রোবাংলায় পাঠায় সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল)। পরে ৯ সেপ্টেম্বর জ্বালানি বিভাগের বিভাগীয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (ডিপিইসি) সভায় প্রকল্পটি সম্পূর্ণরূপে সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসঙ্গে প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয় ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দুই বছর। ডিপিইসির এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে পুনরায় ডিপিপি তৈরি করে এসজিএফএল।
নভেম্বরে অনুষ্ঠিত কোম্পানির সবশেষ বোর্ড মিটিংয়ে নতুন ডিপিপি অনুমোদন হওয়ার পর পেট্রোবাংলায় পাঠানো হয়। পরে পেট্রোবাংলা থেকে ডিপিপি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য জ্বালানি বিভাগে পাঠানো হয়।
বর্তমানে রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রের পাঁচটি কূপ দিয়ে দৈনিক ৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। কূপগুলো হলো ১, ৩, ৪, ৭ ও ৮। বন্ধ রয়েছে ২ ও ৫ নম্বর কূপ। বন্ধ থাকা কূপ দুটি ওয়ার্কওভারের মাধ্যমে পুনরায় চালু করার পরিকল্পনা করছে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড।
পরে নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জের করিমপুরে অবস্থিত বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে যান মন্ত্রী।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এসআর