শিশু লামিয়া হত্যা: মা আয়েশা আরও দু’দিনের রিমান্ডে
স্কচটেপ দিয়ে হাত-পা-মুখ বেঁধে ফেনীর পরশুরামে শিশু উম্মে সালমা লামিয়া (৭) হত্যাকাণ্ডে শিশুটির মা আয়েশা বেগমকে আরও দুই দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবুল কাশেম আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা তুজ জোহরা মুনা দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে আয়েশাকে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন খান বলেন, লামিয়া হত্যার ঘটনায় অধিকতর তদন্তের জন্য দ্বিতীয় দফায় সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
এদিকে ঘটনার ৯ দিন পরও হত্যার পুরো রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। হত্যার পরিকল্পনায় মা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পরিকল্পনাকারী হিসেবে স্বীকারোক্তি দিলেও লামিয়ার মূল হত্যাকারীকে এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
পুলিশ লামিয়ার মা আয়েশাকে গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। নিহত শিশু লামিয়ার বাবা মো. নুরুন নবী বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার রাতে পরশুরাম থানায় হত্যা মামলা করার পর সেই রাতেই আয়েশা বেগম ও লামিয়ার সৎ মা রেহানা আক্তারকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত বৃহস্পতিবার সকালে আয়েশাকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সৎ মা রেহানাকে এজাহারকারীর জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
পরশুরাম পৌর এলাকার বাঁশপদুয়া গ্রামে গত মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে হেলমেট পরা দুই যুবক মো. নুরুন নবীর ভাড়া বাসায় গিয়ে নিজেদের পল্লী বিদ্যুতের কর্মী পরিচয়ে দরজা খুলতে বলেন। এ সময় তার দুই শিশুসন্তান দরজা খুলে দিলে দুই যুবক ঘরে ঢুকে শিশু লামিয়াকে স্কচটেপ দিয়ে হাত-মুখ-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। লামিয়ার বড় বোন নিহা একজনের হাত কামড়ে দিয়ে পাশের কক্ষে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়ে নিজেকে রক্ষা করে। লামিয়াকে হত্যার পর সন্দেহভাজন দুই যুবক চলে গেলে নিহা দৌড়ে পাশের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরবর্তীতে নিহা অজ্ঞান হয়ে গেলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
আবদুল্লাহ আল-মামুন/এফএ/এএসএম