সীতাকুণ্ড
একের পর এক ডাকাতি, লাঠি হাতে পাহারায় গ্রামবাসী
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একের পর ডাকাতির ঘটনায় জনমনে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। ডাকাতি ঠেকাতে লাঠি হাতে পাহারায় নেমেছেন গ্রামবাসী। উপজেলার পূর্ব লালানগর গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠদের উদ্যোগে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত থেকে এলাকার সাধারণ মানুষ লাঠি নিয়ে পাহারা দিতে শুরু করেছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সীতাকুণ্ডে গত এক মাসে একাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক বেড়েছে। উপজেলার কয়েকটি গ্রামে রাত হলেই পাহারা দিচ্ছেন স্থানীয়রা।
এরই মধ্যে উপজেলার পৌরসভা এলাকায় সাংবাদিক শেখ সালাউদ্দিনের বাড়িতে গভীর রাতে হানা দিয়ে নগদ টাকাসহ সোনার অলংকার লুট করে নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল।
খবর পেয়ে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সীতাকুণ্ড থানার ওসি কামাল উদ্দিন ও পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক শেখ সালাউদ্দিন বলেন, ‘পৌর সদরের শেখপাড়া পল্লী বিদ্যুতের পাশে আমার বাসা। সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ডাকাত দল হানা দেয়। নগদ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং সাড়ে সাত ভরি সোনা ও পাঁচটি মুঠোফোন লুট করে নিয়ে গেছে। এ সময় তারা আমার ভাই রাসেল ও মেয়ের জামাই জাহাঙ্গীরকে ছুরিকাঘাতও করেছে। তাদের সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ডাকাতির সময় আমি বাসায় ছিলাম না। এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
আরও পড়ুন>> সীতাকুণ্ডে ফের ডাকাতি, নগদ টাকা-স্বর্ণালঙ্কার লুট
ভুক্তভোগী রাসেল জানান, হাতে রামদা, লোহার কিরিচ ও খনতা নিয়ে আসা ডাকাতদের দলে ১২ থেকে ১৪ জন ছিল। কয়েকজনের মুখ খোলা থাকলেও অন্যরা মুখোশধারী ছিল। তাদের সবার ভাষায় উত্তরবঙ্গের টান ছিল।
এছাড়া গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে উপজেলার বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের ফেদাইনগর এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক হাসান ফেরদৌসের বাড়িতে ডাকাত দল হানা দেয়। এর পরদিন তিনি বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। গত এক মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একাধিক ডাকাতির ঘটনায় এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে ডাকাতরা।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন জানান, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ করলে ডাকাতির বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরেও জানান, কয়েক দিন আগে তিনজন ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত।
এম মাঈন উদ্দিন/ইএ