শিশু লামিয়া হত্যায় মা আয়েশা ৩ দিনের রিমান্ডে
স্কচটেপ দিয়ে হাত-পা-মুখ বেঁধে ফেনীর পরশুরামে শিশু উম্মে সালমা লামিয়াকে (৭) হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মা আয়েশা বেগমের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ আয়েশাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও পরশুরাম আমলি আদালতের বিচারক ফাতেমা তুজ জোহরা মুনা এ আদেশ দেন।
ফেনী জজ কোর্টের আইনজীবী গাজী তারেক আজিজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান বলেন, লামিয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অধিকতর তদন্তের জন্য সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলে বিচারক তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে হত্যার সঙ্গে জড়িত ও সন্দেহভাজন দুই যুবককে এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পরশুরাম পৌর এলাকার বাঁশপদুয়া গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত শিশু লামিয়ার বাবা নুরুন নবী বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলারপর রাতেই আয়েশা বেগম ও লামিয়ার সৎমা রেহানা আক্তারকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার সকালে আয়েশাকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সৎমা রেহানাকে এজাহারকারীর জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ওইদিন দুপুর দেড়টার দিকে হেলমেট পরা দুই যুবক নুরুন নবীর ভাড়া বাসায় গিয়ে নিজেদের পল্লী বিদ্যুতের কর্মী পরিচয় দেন এবং দরজা খুলতে বলেন। এসময় নুরুন নবীর দুই শিশুসন্তান দরজা খুলে দিলে তারা ঘরে ঢুকে পড়েন। পরে শিশু লামিয়াকে স্কচটেপ দিয়ে হাত-মুখ-পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
লামিয়ার বড় বোন নিহা একজনের হাত কামড়ে দিয়ে পাশের কক্ষে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়ে নিজেকে রক্ষা করে। লামিয়াকে হত্যার পর ওই দুই যুবক চলে গেলে নিহা দৌড়ে পাশের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়।
আবদুল্লাহ আল-মামুন/এসআর/এএসএম