গোপালগঞ্জ
আমদানি নির্ভরতা কমাতে বেড়েছে সরিষা আবাদ
বাজারে ক্রমাগতভাবেই ভোজ্য তেলের দাম বেড়েই চলেছে। এসময় আমদানি বাণিজ্যের ওপর চাপ কমাতে গোপালগঞ্জে বাড়ছে সরিষা চাষাবাদ। ফলে একদিকে যেমন কৃষকদের ভোজ্য তেলের চাহিদা মিটছে, তেমনি বাড়তি সরিষা বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সর্বশেষ অর্থবছরে গোপালগঞ্জে চার হাজার ৫৭০ হেক্টরে সরিষার আবাদ হয়। এ বছর চার হাজার ৯৮০ হেক্টরে সরিষার আবাদ হয়েছে। সে হিসেবে জেলায় ৪১০ হেক্টরে সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর উৎপাদন হয়েছিল পাঁচ হাজার ৯৪১ মেট্রিক টন সরিষা। এ বছর ছয় হাজার ৪৭৪ টন সরিষা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
জেলার সদর উপজেলার মানিকদাহ গ্রামের কৃষক রাজেন্দ্র নাথ বাইন সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সয়াবিন তেলের দাম যেভাবে বেড়েছে তাতে নিজেদের তেলের চাহিদা মেটাতে সরিষা বা তেল জাতীয় ফসলের চাষাবাদ বাড়িয়েছেন তারা। এতে করে নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে ও বাজারে বিক্রি করে লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
মিঠু বিশ্বাস নামে আরেক কৃষক জানান, বাজারে গিয়ে সাধারণ মানুষ যখন দেখেন সয়াবিন বা ভোজ্য তেলের দাম ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। তখন তাদেরকে প্রয়োজনের তুলনায় কম তেল কিনে ঘরে ফিরতে হয়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য গোপালগঞ্জে সরিষার আবাদ দিন দিন বাড়ছে।
গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালকআব্দুল কাদের সরদার জাগো নিউজকে বলেন, ভোজ্য তেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে তেল জাতীয় ফসল চাষের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। জেলায় এ বছর যে পরিমাণ সরিষা আবাদ হয়েছে তাতে আশা করা যায় জেলার মানুষের চাহিদার এক চতুর্থাংশ চাহিদা মিটবে। ভোজ্য তেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে তেল জাতীয় ফসল চাষাবাদের উপর জোর দিয়েছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা।
এনআইবি/জিকেএস