সালিশে প্রবাসীর স্ত্রীকে মারপিট-শ্লীলতাহানি, ভিডিও ভাইরাল
যশোরের মণিরামপুরে সালিশের নামে প্রবাসীর স্ত্রীকে বেধড়ক মারপিট ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ওই গৃহবধূ মণিরামপুর থানায় অভিযোগ করেছেন।
মোবাইল ফোনে ফ্লেক্সিলোডের টাকা নিয়ে বিবাদে গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ওই নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। মুদি ও রাসায়নিক-কীটনাশক ব্যবসায়ী শাহাজান কবির, তার ছেলে হৃদয় হোসেনসহ চারজনের বিরুদ্ধে এই নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন ওই গৃহবধূ। শাহাজান কবির মণিরামপুর উপজেলার বড় চেৎলা গ্রামের খোকার ছেলে।
এরইমধ্যে ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, বহু মানুষের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধর করা হচ্ছে। মারপিট ও শ্লীলতাহানিকালে ওই প্রবাসীর স্ত্রীর আর্তনাদের চিৎকার শোনা যায়। এ সময় তিনি কান্নাকাটি করে তাকে মারপিট না করার আকুতি-মিনতি করছিলেন।
জানা যায়, শাহাজান কবির উপজেলার বড় চেৎলা বাজারের মুদি দোকানি। তিনি একইসঙ্গে রাসায়নিক ও কীটনাশকসহ ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করেন। ঘটনার দিন ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে নিজ মোবাইল ফোনে ১৫০ টাকা ফ্লেক্সিলোড দিতে নির্যাতনের শিকার ওই নারী তার ছেলেকে দিয়ে শাহাজানের কাছে পাঠান। কিন্তু মোবাইলে টাকা না আসায় ওই নারী শাহাজানের দোকানে গিয়ে টাকা না আসার বিষয়টি অবহিত করেন। এ নিয়ে ওই নারী আর শাহাজান হোসেন বাগবিতণ্ডায় জড়ান।
এক পর্যায়ে রাত ৮টায় সালিশ বৈঠক ডাকা হয়। কিন্তু তার আগেই সন্ধ্যার পর শাহাজান কবির ও তার ছেলে হৃদয় হোসেন, মুনসুর রহমান, নজরুল ইসলামসহ কয়েকজন ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে চড়াও হন। এক পর্যায়ে ওই নারীকে স্থানীয় বড় চেৎলা বাজারের লিটনের দোকানে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। এসময় তিনি শ্লীলতাহানির শিকার হন।
ভুক্তভোগী ওই নারী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, তার ওপর নির্যাতনের বিচার চান তিনি। এজন্য তিনি থানায় অভিযোগ করেছেন। ইউএনওর কাছে হাত ধরে কান্নাকাটি করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে শাহাজান কবিরের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিলে রিসিভ করেন তার ছেলে হৃদয় হোসেন। তিনি পরে জানাবেন বলে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।
মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম মেহেদী মাসুদ জানান, অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মিলন রহমান/এফএ/জেআইএম