জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানালেন ১১ দেশের সামরিক কর্মকর্তা
সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন ১১ দেশের ১৩ জন সামরিক কর্মকর্তা। এরা ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দূতাবাসের সামরিক প্রতিনিধি (ডিফেন্স অ্যাটাশে) হিসেবে কর্মরত।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর বিদেশি সামরিক কর্মকর্তারা জাতীয় স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
তারা হলেন- অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধি লে. কর্নেল জন ডেম্পসি, চীনের প্রতিনিধি সিনিয়র কর্নেল ডু জিংসেন, ভারতের প্রতিনিধি ব্রিগেডিয়ার মানমিত সিং সাবারওয়াল, ইন্দোনেশিয়ার প্রতিনিধি কর্নেল আজওয়ান আবদি, মিয়ানমারের প্রতিনিধি ব্রিগেডিয়ার সো ন্যুয়েত, নেপালের প্রতিনিধি ব্রিগেডিয়ার রোশান শামসের রানা, ফিলিস্তিনের প্রতিনিধি কর্নেল মাহমুদ সারাওনাহ, রাশিয়ার প্রতিনিধি কর্নেল সারগেই ভিক্টরোভিচ নেয়দেনভ্ ও লে. কর্নেল আলেক্সি ইয়্যুরিভিচ তেরেকভ, তুরস্কের প্রতিনিধি কর্নেল এরদাল শাহীন, যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধি লে. কর্নেল জন ক্র্যাফোর্ড ম্যাকলিলান স্কর্ট, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি লে. কর্নেল মাইকেল এরিক দ্যিমেশেই ও মেজর ইয়ান লিওনার্দ।
প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহা পরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল হামিদুল হকের নেতৃত্বে তারা শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ডিজিএফআই মহাপরিচালক মেজর জেনারেল হামিদুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে যারা আত্মত্যাগ করেছিলেন, সেই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের সামরিক প্রতিনিধিরা এখানে এসেছেন শ্রদ্ধা জানাতে।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিজিএফআই প্রধান বলেন, প্রতিটি দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি হচ্ছে- ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়।’ এ পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন দেশের সামরিক প্রতিনিধিরা আমাদের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন। পরে তারা সাভারের একটি তৈরি পোশাক কারখানা পরিদর্শন করেন।
দুপুরে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার কাঁইচাবাড়ী এলাকার টিম গ্রুপের ফোর এ ইয়ান ডায়িং নামের পোশাক কারখানাটি পরিদর্শনে যান তারা। সেখানে প্রতিনিধি দলটি পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ ও ব্যবস্থাপনা ঘুরে দেখেন। এসময় নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন কারখানার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে।
মাহফুজুর রহমান নিপু/আরএইচ/এমএস