বাবা প্রবাসী, মা চলে গেছেন প্রেমিকের হাত ধরে, ৩ শিশুর অসহায়ত্ব

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফরিদপুর
প্রকাশিত: ০৭:৪৮ পিএম, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

বাবা মালয়েশিয়া প্রবাসী। পাড়ি জমিয়েছেন সাত বছর আগে। এ অবস্থায় পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মা। কয়েকমাস হলো পালিয়েছেন পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে। এ অবস্থায় অসহায় হয়ে পড়েছে তিন শিশু।

এমনই ঘটনা ঘটেছে পাবনার সুজানগর উপজেলার সাগরকান্দা গ্রামে। মায়ের সন্ধানে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের বিষ্ণুদী গ্রামের দিলীপ কুণ্ডুর ছেলে সুজন কুণ্ডুর বাড়িতে উঠেছে ওই তিন শিশু। সুজন কুণ্ডু এ তিন শিশুর মায়ের প্রেমিক।

অসহায় এ তিন শিশুর বয়স যথাক্রমে ১২, ৮ ও ৩ বছর। এদের মধ্যে একজন প্রতিবন্ধী। তাদের বাবার নাম কৃষ্ণ কুণ্ডু।

কৃষ্ণ কুণ্ডুর বড় মেয়ে নন্দিতা জানায়, তার বাবা কাজের সন্ধানে প্রায় সাত বছর আগে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। মালয়েশিয়া গিয়ে তার সব টাকা তার মায়ের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছেন। মা তার পরকীয়া প্রেমিক সুজন কুণ্ডুকে এসব টাকা দিয়েছেন। কয়েকমাস আগে সুজনের কাছে পালিয়ে এসেছেন।

সে আরও বলে, ‘আমরা অনেক খোঁজাখুঁজির পর আমার এক চাচার সঙ্গে সুজন কুণ্ডুর বাড়িতে এসেছি। এখানে আমার মা ছিল। কিন্তু আমাদের দেখে মা তার প্রেমিক সুজনকে নিয়ে এখান থেকেও পালিয়েছেন। আমরা এখন কী করবো?’

স্থানীয়রা জানান, ছয় মাস আগেও দিলীপ কুণ্ডু ও তার ছেলে সুজন কুণ্ডু মাছ বিক্রি করে সংসার চালাতেন। হঠাৎ অনেক টাকা-পয়সার মালিক বনে গেছেন সুজন কুণ্ডু। নতুন বিল্ডিং দিয়েছেন। এসব টাকা শিশু তিনটির মা দিয়েছেন।

শিশুদের বাবা কৃষ্ণ কুণ্ডুর ভাই সাগর কুণ্ডু বলেন, ‘বিষ্ণুদী গ্রামে বেশকিছু দিন আগে আমার বউদি এসেছিলেন একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে। সেখান থেকে সুজনের সঙ্গে পরিচয় তার। মোবাইল নম্বর আদান-প্রদান হয়েছে। এরপর ফোনে তাদের মধ্যে সখ্য গড়ে ওঠে। এটা প্রেমে রূপ নেয়। সম্পর্কের শেষ পরিণতি দুই তিন মাস আগে সুজন পাবনায় গিয়ে আমার বউদিকে নিয়ে ফরিদপুরে চলে আসে।’

তিনি বলেন, ‘এরপর থেকে আমার ভাইয়ের তিন সন্তান অসহায় হয়ে পড়েছে। আমরা এখন এদের নিয়ে বিপদে আছি। কীভাবে এর সমাধান হবে জানি না। আমরা বিদেশি লোক, কার কাছে গেলে এর সমাধান হবে বুঝতে পারছি না।’

অভিযুক্ত সুজন কুণ্ডু বাড়িতে না থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সুজন কুণ্ডুর বাবা দিলীপ কুণ্ডু বলেন, ‘আমার ছেলে বাড়িতে নেই। ছেলের সঙ্গে যে মেয়েটি এসেছে সেও নেই। আমি এখন আর এর কী সমাধান দেবো?’

এ বিষয়ে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোহাম্মদ ফায়জুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এটা মূলত সমাজসেবা অফিসের কাজ। তারপরও আইনগত কোনো দিক থাকলে অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এন কে বি নয়ন/এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।