১ মিনিটেই মোটরসাইকেল চুরি করে পালাতেন তারা

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি সাভার (ঢাকা)
প্রকাশিত: ০৯:৪৫ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০২৪

জামিনে বের হওয়ার সাত দিন পর ফের মোটরসাইকেল চুরি করার ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

চোর চক্রের সদস্যরা জানিয়েছেন, মাস্টার কি (চাবি) ব্যবহার করে এক মিনিটেই মোটরসাইকেল চুরি করে পালাতেন তারা।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) আব্দুল্লাহিল কাফি।

গ্রেফতাররা হলেন ফরিদপুর সদরের হাবিবুর রহমানের ছেলে নুর মোহাম্মদ মোনা (৩০) ও একই থানার তালতলা এলাকার সালাম খন্দকারের ছেলে সজীব খন্দকার (৩৩)। এ ঘটনায় চক্রের প্রধান নাসির খা পলাতক।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বেশ কিছুদিন ধরে চক্রটি সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে বিভিন্নভাবে বিক্রি করতো। চক্রের প্রধান নাসির খাকে গত ১৪ ডিসেম্বর মোটরসাইকেল চুরির মামলায় গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠালে ১৯ জানুয়ারি জামিনে মুক্তি পান। জামিনে বের হওয়ার সাত দিন পরেই জামগড়ার শিমুলতলা এলাকার একটি বিয়েবাড়ি থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি করেন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ দিলে ফরিদপুরের বঙ্গেশ্বরদী এলাকা থেকে সজীবকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় নুর মোহাম্মদকে। পরবর্তী সময়ে নুর মোহাম্মদের শ্বশুরবাড়ি থেকে চুরি করা মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। এসময় একটি মাস্টার কি (প্রধান চাবি) ও মোটরসাইকেলের তালা ভাঙার অপর একটি চাবি উদ্ধার করা হয়। ২০২০ সাল থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে আসছিল চক্রটি।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অমিতাভ চৌধুরী অমিত বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে আসামির পরিচয় শনাক্ত করা হয়। পরবর্তী সময়ে ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। চক্রটির বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মাহফুজুর রহমান নিপু/এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।