নাইক্ষ্যংছড়ির ওপারে মিয়ানমারে থেমে থেমে গোলাগুলি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বান্দরবান
প্রকাশিত: ০৫:০২ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০২৪

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় আবারও গোলাগুলি শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও আতঙ্কে সীমান্তঘেষাঁ এলাকার পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চবিদ্যালয় ও একটি মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল থেকেই ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে গোলাগুলি চলছে বলে নিশ্চিত করেছেন ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ।

ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ইউপি মেম্বার আনোয়ার হোসেন বলেন, শনিবার (২৭ জানুয়ারি) থেকেই মিয়ানমারের ভেতরে থেমে থেমে গোলাগুলি ও বোমার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। আজ আবারও ৩৩ নম্বর পিলার সীমানার ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড তুমব্রুপশ্চিম কূলে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সকাল থেকে থেমে থেমে গোলাগুলির বিকট আওয়াজ শোনা যাচ্ছে।

ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, মাঝখানে কিছুদিন গোলাগুলি বন্ধ ছিল। শনিবার থেকে আবারও মিয়ানমারের অভ্যন্তরে থেমে থেমে গোলাগুলি ও বোমার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। তবে বাংলাদেশে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তারপরও এলাকার লোকজনকে সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করতে অনুরোধ করা হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ত্রিরতন চাকমা জানান, সকাল থেকে মিয়ানমারের ভেতরে গোলাগুলির কারণে ঘুমধুম সীমান্ত এলাকার বাইশ ফাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজা বনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিমকূল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আজকের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয় ও একটি মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফরিদুল আলম হোসাইনি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

নয়ন চক্রবর্তী/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।