মাঘের কুয়াশা ও হিমশীতল বাতাসে কাঁপছে ঠাকুরগাঁও

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁও
প্রকাশিত: ১২:৩৬ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২৪

মাঘের কনকনে শীতে জবুথবু ঠাকুরগাঁও। পুরো জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। অতিরিক্ত ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অনেকটাই ব্যাহত। বেলা বাড়লেও ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে সেখানকার জনপদ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

jagonews24

প্রতি বছরই শীত মৌসুমে ঠাকুরগাঁও ও এর আশপাশের অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন শ্রমজীবী মানুষ। এসময়ে কাজের সুযোগ অনেক কমে যায়। এবারের শীতে সেটা আরও কম। দিনমজুরির কাজ এখন নেই বললেই চলে। বিগত শীত মৌসুমগুলোতে জেলায় অন্য অনেক কাজের সুযোগ কমলেও নির্মাণ সংশ্লিষ্ট কাজ বেড়ে যেতো। তবে এ বছরের চিত্র ভিন্ন, এবার নির্মাণকাজেরও দেখা পাচ্ছেন না শ্রমিকরা।

সকালে বিভিন্ন এলাকার স্থানীয়দের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, মনে হচ্ছে তাপমাত্রা জিরো ডিগ্রিতে নেমে গেছে। তীব্র শীতের কারণে তারা বাইরে বের হতে পারছেন না। অনেকের আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। তীব্র শীতে কাজ না থাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকে।

jagonews24

স্থানীয় ভ্যানচালক কেরামত আলী জাগো নিউজকে জানান, আজ প্রচণ্ড ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। ভোর থেকে ঘন কুয়াশা। শীতের কারণে ভ্যানের তেমন যাত্রী পাওয়া যায় না। আয়-রোজগার অনেক কমে গেছে। এরপরও পেটের তাগিদে ভ্যান নিয়ে বের হতে হচ্ছে।

এদিকে, জেলায় পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগবালাই। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন লোকজন। বিশেষত, নিম্নআয়ের মানুষজন অর্থাভাবে চিকিৎসা খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন।

jagonews24

ঠাকুরগাঁওয়ে আবহাওয়া অফিস না থাকায় যে কোনো তথ্যের জন্য পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া অফিসের ওপর নির্ভর করতে হয়।

পঞ্চগড় জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জাগো নিউজকে বলেন, আজকে সকালে ঠাকুরগাঁও জেলায় ৭ দশমিক ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। জেলাজুড়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বইছে। গত কয়েকদিন ধরেই জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ চলছিল। কুয়াশা ও হিমশীতল বাতাসের কারণে এখন তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।

তানভীর হাসান তানু/এমকেআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।