বিল দিতে না পারায় নবজাতক বিক্রি, হাসপাতালের পরিচালকসহ আটক ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক রংপুর
প্রকাশিত: ০৬:০৯ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০২৪

রংপুরের হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে না পারায় এক নবজাতককে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রসূতির অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আটকরা হলেন- হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালের পরিচালক ও নগরীর কামারপাড়া এলাকার মৃত নজির উদ্দিন সরকারের ছেলে এম এস রহমান রনি (৫৮), শিশুটির ক্রেতা মধ্য পীরজাবাদ এলাকার সামসুল ইসলামের ছেলে রুবেল হোসেন রতন (৩০) ও রুবেলের স্ত্রী জেরিনা আক্তার বিথী (৩০)।

রোববার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন।

এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি বুধবার সকালে হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালের বিল পরিশোধে ব্যর্থতার অজুহাত ও রোগীর পরিবারের অসহায়ত্ব কাজে লাগিয়ে নবজাতক ছেলে শিশুটির বিক্রির ঘটনা ঘটে।

বিল দিতে না পারায় নবজাতক বিক্রি, হাসপাতালের পরিচালকসহ আটক ৩

উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন জানান, গত ১৩ জানুয়ারি শনিবার নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন শাপলা রোডের হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালের ২০২ নম্বর রুমে প্রসব বেদনা নিয়ে ভর্তি হন ভুরারঘাট এলাকার লাবনী আক্তার (২২)। ওই দিন রাতে সিজারের মাধ্যমে একটি নবজাতক শিশুর (ছেলে) জন্ম দেন তিনি। এর চারদিন পর ১৭ জানুয়ারি ক্লিনিকের বিল পরিশোধে ব্যর্থতার অজুহাত ও অসহায়ত্ব কাজে লাগিয়ে প্রসূতি মায়ের অগোচরে সদ্যজাত শিশুকে বিক্রির উদ্যোগ নেন হাসপাতালের পরিচালক। শিশুটির বাবা ওয়াসিম আকরামের সহায়তায় হাসপাতালের পরিচালক এমএস রহমান রনি তার পূর্বপরিচিত জেরিনা আক্তার বিথী ও রুবেল হোসেন রতনের কাছে ৪০ হাজার টাকায় শিশুটিকে বিক্রি করেন।

তিনি আরও জানান, পরে প্রসূতি লাবনী আক্তার কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রোববার (২১ জানুয়ারি) নগরীর মধ্য পীরজাবাদ এলাকা থেকে নবজাতক শিশুটিকে উদ্ধার করে। একই সঙ্গে ঘটনার সঙ্গে জড়িত এমএস রহমান রনি, রুবেল হোসেন রতন, জেরিনা আক্তার বিথীকে আটক করা হয়।

জিতু কবীর/আরএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।