দিনাজপুরে চার দিনে শীতজনিত রোগে ৩ হাজার ৪৮৪ রোগী ভর্তি
দিনাজপুরে শীতের তীব্রতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। ফলে জেলার প্রতিটি হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর চাপ বেড়েছে।
দিনাজপুরের সির্ভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, গত চার দিনে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসাপাতাল ও জেলার ১২ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে ৮৮৫ ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত দুই হাজার ৫৯৯ রোগী ভর্তি হয়েছে। এরমধ্যে বেশীরভাগই শিশু ও বয়স্ক।
তাদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ নিয়ে ২৩ ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ৪৪ রোগী। অথচ বুধবারে (১৭ জানুয়ারি) ভর্তি হয়েছে শ্বাতন্ত্রের সংক্রমণে ৫ ও ডায়রিয়ায় ৩৩ জন। এতে দেখা যায় শীতের তীব্রতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।
সিভিল সার্জন ডা. এ এইচ এম বোরহান-উল-ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, শীতজনিত রোগী বাড়লেও পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত উদ্বেগের নয়। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। রোগী বাড়লেও প্রস্তুতি ব্যাপক রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বয়স্ক ও শিশুদের শীতে খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া উচিত নয়। শিশুদের শীতের পোশাক পরিধান করাতে হবে। সামান্য অবহেলার কারণে শিশুদের মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, বর্তমানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। চলতি সৌমুমে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দেশের মধ্যে দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমে যেতে পারে।
এমদাদুল হক মিলন/এএইচ/এমএস