উড়তে পারে কিশোর আনিসুলের তৈরি বিমান
দশম শ্রেণির ছাত্র আনিসুল হক (১৬)। কিন্তু তার বয়স যখন ১০ বছর, তখন থেকেই তার ইচ্ছা ছিল একদিন সে নিজের হাতে বিমান তৈরি করে আকাশে ওড়াবে। সেই স্বপ্ন পূরণ করে দেখিয়েছে আনিসুল। ইউটিউবে ভিডিও দেখে বিমান তৈরি ফেলেছে সে। বিমানটি উড়তেও পারে।
আনিসুল হক সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সাউদেরখলা গ্রামের হাজী এম জাহের আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা আহাদ মিয়া পেশায় কৃষক। মা জাহানারা বেগম একজন গৃহিণী।
আনিসুলরা ছয় ভাই তিন বোন। তার গ্রামের বাড়ি তাহিরপুর উপজেলার ৩ নম্বর বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের হাপানিয়া গ্রামে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শৈশব থেকেই বিমান বানানোর নেশা ছিল আনিসুল হকের। এজন্য সে তার বাবা-মায়ের কাছ থেকে পাওয়া টাকা খরচ না করে জমিয়ে রাখতো। পরে জমানো টাকা থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকার বিমান তৈরির খুচরা যন্ত্রাংশ কিনে আনে ঢাকা থেকে। অবশেষে দেড় বছরের চেষ্টায় একটি ক্ষুদ্র বিমান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে বাড়ির আঙিনায় বিমান উড়িয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয় কিশোর আনিসুল। রিমোট কন্ট্রোল বিমানটি উড়তে দেখে শিশু-কিশোরসহ সব বয়সী মানুষ ভিড় করেন।
আনিসুল হক বলে, ‘ইউটিউবে ভিডিও দেখে বিমান তৈরির কৌশল রপ্ত করি। অবশেষে সফলও হয়েছি। আমার সত্যিই খুব আনন্দ লাগছে।’
আনিসুলের বড় ভাই নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ভাই শখ করে ঢাকা থেকে খুচরা যন্ত্রাংশ এনে জোড়া দিয়ে বিমান তৈরি করেছে। এটা আমাদের জন্য খুব আনন্দের।’
তাহিরপুর উপজেলার বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুস আলী বলেন, ‘শিক্ষার্থী আনিসুল অসাধারণ একটি জিনিস তৈরি করেছে। আশা করি সে এরকম আরও অনেক কিছু তৈরি করবে। তার জন্য শুভ কামনা।’
এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা পারভীন বলেন, বিষয়টি শুনেছি। আগামীকাল আরও ভালোভাবে খতিয়ে দেখবো। ওই শিক্ষার্থীকে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করা হবে।
লিপসন আহমেদ/এসআর/এমএস/