মুন্সিগঞ্জে পরাজিত নৌকা সমর্থকদের বাড়িতে হামলা ভাঙচুর লুট

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মুন্সিগঞ্জ
প্রকাশিত: ০২:৩৮ পিএম, ১৪ জানুয়ারি ২০২৪

মুন্সিগঞ্জ সদরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় অর্ধশত বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সদর উপজেলার চরাঞ্চলের আধার ইউনিয়নের শোলারচর ও বকুলতলা গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩ জন। এ সময় স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা ও গরু-ছাগল লুটের অভিযোগ করেছেন ভোক্তভোগীরা। তাদের অভিযোগ, নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে নৌকা সমর্থন করায় একই আসনের জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী ফয়সাল বিপ্লবের সমর্থকরা এ হামলা চালিয়েছে।

আহতরা হলেন- স্থানীয় রেনু বেগম (৫০), মাহফুজ (৫০) ও শাহানাজ (৫০)। এ ঘটনায় দুটি গ্রামে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত ও স্থানীয়রা জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে শোলারচর ও বকুলকলা এলাকার নৌকা ও জয়ী কাঁচি প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। আজ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নির্বাচনী বিরোধকে কেন্দ্র করে বিজয়ী ফয়সাল বিপ্লবের সমর্থক উত্তর শোলারচর গ্রামের বোরহান মাস্টারের ছেলে আহাদুলের নেতৃত্বে হঠাৎ শোলারচর ও বকুলতলা গ্রামে হামলা চালানো হয়। এ সময় শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে দেশি অস্ত্র নিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায় তারা। হামলাকারীরা প্রায় অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি ভাঙচুর করে ১৫টি গরু ও ৮টি ছাগল নিয়ে যায়। লুট করা হয় স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা।

jagonews24

হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মাহাবুব ভূইয়ার স্ত্রী জাকিয়া বেগম জানান, তার বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে ৫টি গরু, ৮টি ছাগল ও ১০ ভরি স্বর্ণ লুট করে নিয়ে গেছে। তাদের বাড়িতে সিসি ক্যামেরা থাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এই হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়াও দুটি সিসি ক্যামেরা নিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে অতিরিক্ত পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

বকুলতলা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত আমিন উদ্দিন সরকারের মেয়ে পান্না বেগম বলেন, ভোরে কাঁচি সমর্থক আহাদুলের নেতৃত্বে আমাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে নগদ ৫ লাখ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণ লুট করে নিয়ে গেছে। এ সময় তারা আমাদের বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আহাদুলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খাইরুল হাসান জানান, সকালে এলাকাটিতে গ্যাঞ্জামের খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে ফোর্স নিয়ে এলাকায় উপস্থিত হই। আমরা ৭টি ঘর ভাঙচুরের চিত্র দেখেছি। এলাকাটিতে ৫টি টিম মোতায়েন করা হয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য। ৪টি গরু এরইমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। পূর্ব থেকে দুটি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিল।

আরাফাত রায়হান সাকিব/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।