ফের খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নওগাঁ
প্রকাশিত: ০৮:৫৪ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০২৪

আবারও খাদ্য মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর-পোরশা-সাপাহার) আসনের সংসদ সদস্য সাধন চন্দ্র মজুমদার। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার একই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে মন্ত্রিসভার ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রীকেও শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

শপথ গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যদের নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এরআগে মন্ত্রিসভার সদস্য মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টন করে আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হয়ে সাধন চন্দ্র মজুমদার বিপুল ভোটে জয়ী হন। তিনি এক লাখ ৮৬ হাজার ৯০০ ভোট পান। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেকুজ্জামান তোতা ট্রাক প্রতীকে পান ৭৬ হাজার ৯২৯ ভোট। এ নিয়ে টানা চতুর্থবার আসটির এমপি নির্বাচিত হয়েছেন সাধন চন্দ্র মজুমদার।

সাধন চন্দ্র মজুমদারের জন্ম ১৯৫০ সালের ১৭ জুলাই। তার পৈতৃক বাড়ি নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার শিবপুর গ্রামে। বাবা ছিলেন ধান ব্যবসায়ী। নওগাঁ ডিগ্রি কলেজ থেকে স্নাতক পাস সাধন চন্দ্র মজুমদার ১৯৮৪ সালে নিয়ামতপুরের হাজীনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সালে নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

১৯৯৬ ও ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছালেক চৌধুরীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছালেক চৌধুরীকে পরাজিত করে বিজয়ী হন সাধন চন্দ্র মজুমদার। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বিএনপির ছালেক চৌধুরীকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সবশেষ ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও জয়ী হন সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

মশিউর রহমান/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।