ভোটারদের ক্যাপ্টেন তাজ

‘ভোটের দিনটি ধার নিলাম, এই ঋণ বোনাসসহ পরিশোধ করবো’

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশিত: ০৯:১৪ পিএম, ০৪ জানুয়ারি ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) তাজুল ইসলাম নিজ নির্বাচনী এলাকার জনগণের উদ্দেশে বলেছেন, ৭ জানুয়ারি ভোটের দিনটি ধার চেয়ে নিলাম। এই দিনের ঋণ আমি বোনাসসহ পরিশোধ করবো। আমি জীবন দিয়ে আপনাদের সব আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবো।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজ মাঠে এক নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

‘জীবনের শেষদিন পর্যন্ত বাঞ্ছারামপুরের মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রাখবেন’ প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ক্যাপ্টেন তাজ যে কথা দেয়, সেই কথা বাস্তবায়ন করে। আমি কথা দিয়েছি, আমার জীবন গেলেও আমি বাঞ্ছারামপুরের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে ছাড়বো। নির্বাচন আসে পাঁচ বছরের জন্য। ১৮২৬ দিন লাগে পাঁচ বছর হইতে, লিপ ইয়ার হলে একদিন বাড়ে। আমিতো আপনাদের সন্তান এবং ভাই হিসেবে বিগত ২০ বছর ধরে আপনাদের সেবা করে যাচ্ছি। সেই সেবার সূত্র ধরে আগামী পাঁচ বছর আপনাদের সেবা করার জন্য আমি কি একটি দিন ধার চাইতে পারি না? একটা দিন ৭ জানুয়ারি আপনাদের কাছে ধার চাই। এই একটা দিন যদি আমাকে দেন, আমি এর বিনিময়ে আমার জীবন দিয়ে হলেও আপনাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা সবকিছু দেখভাল করে ওই একদিন বোনাসসহ ফেরত দেবো, এটা আমার প্রতিশ্রুতি।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা আপনাদের ছেলেমেয়েকে পয়সা খরচ করে লেখাপড়া করান। আপনি চান ৮০ পাক, লেটার পাক, গোল্ডেন। সে থার্ড ডিভিশন পাইলে কি ভালো লাগে? আপনারা যখন আমাকে ভোটই দেবেন, তাহলে ৯৫ পার্সেন্ট ভোট দেবেন। আমি আপনাদের জন্য খাটিনি? সেবা করিনি? দিনরাত পরিশ্রম করিনি? এটা আমার অধিকার। আপনারা আমাকে ভোট দেবেন।’

ভোটারদের উদ্দেশে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘৯৫ শতাংশ ভোট যেন নৌকা পায় সেজন্য আপনারা কেন্দ্রে আসবেন, ঘরে বসে থাকবেন না। প্রত্যেকটা লোককে কেন্দ্রে যেতে হবে, কোনো গাফিলতি চলবে না। আপনারা ওয়াদা করেছেন। ওয়াদা বরখেলাপ করলে পাপ হবে।’

বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি প্রিন্সিপাল আবুল খায়ের দুলাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সায়েদুল ইসলাম ভূঁইয়া বকুল, জাহাঙ্গীর ওয়াজেদ, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, মাসুদ করিম সাজু, মহসিনুল হাসান বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, তফাজ্জল হোসেন, ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম তুষার, দরিকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের মির্জা সফিকুল ইসলাম স্বপন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সনি আক্তার সুচি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।

আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।