শিক্ষক সেজে প্রশিক্ষণে কেরানিরা!

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক বগুড়া
প্রকাশিত: ০৬:৩০ পিএম, ০৩ জানুয়ারি ২০২৪

বগুড়ার ধুনটে মাধ্যমিক পর্যায়ে নতুন শিক্ষাক্রম বিস্তরণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অষ্টম ও নবম শ্রেণির বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণে ভুয়া শিক্ষকরা অংশ নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ‘ডিসেমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম’ শীর্ষক স্কিমের আওতায় ধুনট সরকারি নইম উদ্দিন পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে সাত দিনের এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বিস্তরণে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সারাদেশে ১৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ধুনট উপজেলায় ১৮ থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণে ৭২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৬৮৯ জন শিক্ষক অংশ নেন। অষ্টম ও নবম শ্রেণির ১০টি বিষয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

এ প্রশিক্ষণে শুধু শিক্ষকদের অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্ত এ উপজেলায় এলাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়, পাঁচথুপি নসরতপুর জে এ উচ্চ বিদ্যালয়, চিথুলিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসা, রাঙ্গামাটি কে ইউ দাখিল মাদরাসাসহ আটটি প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী (কেরানি) শিক্ষক সেজে প্রশিক্ষণে অংশ নেন। এক্ষেত্রে অফিস সহকারীরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে শিক্ষকের প্রত্যয়নপত্র নিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে প্রশিক্ষণে অংশ নেন। প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া প্রত্যেক শিক্ষক সাত হাজার ২৮০ টাকা করে সম্মানী ভাতা পাবেন।

এ বিষয়ে পাঁচথুপি নসরতপুর জে এ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল আলিম বলেন, ‘বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটের কারণে অফিস সহকারীকে দিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হয়। ফলে শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে অফিস সহকারী রোকনুজ্জামানকে প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।’

এলাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফ বলেন, ‘বিদ্যালয়ের অফিস সহকারীকে শিক্ষকের প্রত্যায়নপত্র দেওয়া হয়নি। তারপরও অফিস সহকারী জামিল উদ্দিন কীভাবে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তা বলতে পারছি না।’

রাঙ্গামাটি কে ইউ দাখিল মাদরাসার অফিস সহকারী ফজলে কবির বলেন, ‘মাদরাসার শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানোর জন্য শিক্ষা অফিসারকে ম্যানেজ করে প্রশিক্ষণ নিয়েছি।’

এ বিষয়ে ধুনট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একরামুল হক বলেন, অফিস সহকারীদের এ প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার নিময় নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে পাঠানো শিক্ষকদের তালিকা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, অফিস সহকারীরা শিক্ষক সেজে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন কিনা তা জানা নেই। অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার পর যাচাই-বাছাই করে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের সম্মানী ভাতা দেওয়া হবে।

এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।