কক্সবাজার

দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ে ছাই হাতঘড়ি প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয়

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার
প্রকাশিত: ০৫:১০ পিএম, ০১ জানুয়ারি ২০২৪

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিলে হাতঘড়ি প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয় জ্বালিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (১ জানুয়ারি) ভোরের দিকে দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে নির্বাচনী কার্যালয় ছাড়াও একটি সার ও কীটনাশকের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

সূত্র জানায়, চকরিয়ার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের খোজাখালী সিএনজি স্টেশন বাজারে কক্সবাজার-১ আসনে কল্যাণ পার্টির প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের হাতঘড়ি প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারণা কার্যালয় করা হয়েছে। রোববার (৩১ ডিসেম্বর) রাতেও হাতঘড়ি প্রতীকের সমর্থকরা কার্যালয়ে বসে নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যার যার বাসায় চলে যান। পরে নতুন বছর শুরুর রাতের কোনো একসময় কার্যালয়ে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

আগুন দেখে স্থানীয় লোকজন উপজেলার ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু তার আগেই নির্বাচনী কার্যালয়, একটি সার ও কীটনাশকের দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ে ছাই হাতঘড়ি প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয়

দোকানের মালিক মোহাম্মদ আব্বাস (৩২) বলেন, ‘ওইসময় দোকানে ছিলাম না বলে বেঁচে রয়েছি। তবে কারা আগুন দিয়েছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।’

ক্ষতিগ্রস্ত আরেক দোকানি বারেক সওদাগর বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। তবে হাতঘড়ি প্রতীকের প্রতিপক্ষরা নাকি সমর্থকরা এ আগুন দিয়েছে বলতে পারছি না। যারাই আগুন দিক, আগুনে প্রায় সাত লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বলতে গেলে নিঃস্ব হয়ে গেছি।’

দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ে ছাই হাতঘড়ি প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয়

এদিকে, দুপুর ১২টার দিকে পুড়ে যাওয়া নিজের নির্বাচনী কার্যালয় পরিদর্শনে যান কল্যাণ পার্টির প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিদের নগদ ৪০ হাজার টাকা অনুদান দেন তিনি। নির্বাচনের পর দোকানঘরটি মেরামত করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন হাতঘড়ি মার্কার প্রার্থী ইবরাহিম।

কার্যালয় পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘মানুষ সন্ত্রাসী, দখলবাজ, চাঁদাবাজদের হাত থেকে মুক্ত হতে হাতঘড়ি প্রতীককে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। এতেই মাথা নষ্ট হয়ে গেছে অপরাধীদের। তারা পরাজয়ের ভয়ে আমার নির্বাচনী কার্যালয় পুড়িয়েছে। এ ঘটনায় আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করবো।’

এ বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমাদের নলেজে আসার পর ম্যাজিস্ট্রেটকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

সায়ীদ আলমগীর/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।