নৌকা-কাচির সমর্থকদের সংঘর্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে মারধর

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি জয়পুরহাট
প্রকাশিত: ০৩:০৩ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার ইটাখোলা বাজারে নৌকা ও কাচি প্রতীকের প্রার্থী-সমর্থকদের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ইটাখোলা বাজারে নৌকা ও কাচি মার্কার নির্বাচনী প্রচারণা ক্যাম্পের সামনে এই ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জয়পুরহাট-২ আসনের (কালাই- ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর) ক্ষেতলাল উপজেলার ইটাখোলা বাজারে আওয়ামী লীগ মনোনীত হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের নৌকা মার্কার নির্বাচনী অফিস। তার অপরপ্রান্ত রাস্তার পাশে প্রায় মুখোমুখি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসরের কাচি প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারণা অফিস। মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে উভয় প্রচারণা অফিস থেকে একে অপরকে দেখে স্লোগান দেয়।

এতে একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মাহফুজ চৌধুরী হাতাহাতির ঘটনা থামাতে গিয়ে নিচে পড়ে যান। এ সময় তাকে লাথি ও কিল-ঘুষি মারা হয়। পরে গোলাম মাহফুজ চৌধুরীকে তার কর্মী-সমর্থকরা উদ্ধার করেন।

পরবর্তীতে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে ও গোলাম মাহফুজ চৌধুরীকে সেখান থেকে জয়পুরহাট আধুনিক জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। এক পর্যায়ে সড়কের ওপর উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসরসহ উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি তাদের।

স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর অভিযোগ করে বলেন, আমি ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তাইফুল ইসলাম তালুকদারসহ কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বিকেলে গণসংযোগ করে ইটাখোলা বাজারে আমার কাঁচি মার্কার ক্যাম্পে যাই। এসময় নৌকা মার্কার কর্মী ক্ষেতলাল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ক্ষেতলাল পৌরসভার সাবেক মেয়র সিরাজুল ইসলাম বুলুর নেতৃত্বে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে শত-শত মানুষের সামনে আমাকে সড়কে ফেলে মারধর করা হয়। এসময় আমিসহ আমার বেশ কয়েকজন সমর্থক আহত হয়েছে। আমার কর্মী সমর্থকেরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত হয়ে বিচার দাবি করেছে। এঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রতিদিন আমার কর্মী-সমর্থকদের হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এতে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সিরাজুল ইসলাম বুলু বলেন, আমারা গণসংযোগ শেষে ইটাখোলা বাজার নৌকা মার্কার নির্বাচনী ক্যাম্পে বসে ছিলাম। এসময় স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মাহফুজ চৌধুরীর সঙ্গে থাকা ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তাইফুল ইসলাম তালুকদার নৌকা প্রতীকের কর্মী জুলফিকার আলী চৌধুরীকে দেখে কটুক্তি করেন। এঘটনার প্রতিবাদ করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তার লোকজনেরা আমাদের কর্মীদের মারপিট করেন। এ ঘটনায় নৌকার কর্মী জামাল উদ্দিন (৪৪) ও আবির হোসেন (২৬) আহত হয়েছেন। তাদের ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, কটুক্তি করার জের ধরে উভয় পক্ষে ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছে। এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।