নির্বাচনী সভা শেষে যুবলীগের দুই গ্রুপের মারামারি, আহত ৩
বগুড়ায় নির্বাচনী বিশেষ সাধারণ সভা শেষে যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে৷ এই সময় যুবলীগের ৩ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে শহরের টেম্পল রোডে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
আহত দুই যুবলীগ কর্মী শহরের বেসরকারি একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ও দেশ টিভির ক্যামেরাপার্সন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন৷
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বগুড়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে পৌনে ৩ শতক জায়গা নিয়ে জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ও কাউন্সিলর আলহাজ্ব শেখের সঙ্গে দপ্তর সম্পাদক জাকারিয়া আদিলের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আজ জেলা যুবলীগ বিশেষ সাধারণ সভার আয়োজন করে। এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন উপস্থিত ছিলেন।
সভাশেষে দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে জাকারিয়া আদিলের সমর্থক এনামুল কাউন্সিলর আলহাজ্ব শেখের সমর্থক হোসেনকে ওই জায়গা নিয়ে মীমাংসার বিষয়ে তাগাদা দেন। এই নিয়ে বাগবিতণ্ডতা থেকে উভয় পক্ষ হাতাহাতি ও পরে লাঠিসোটা নিয়ে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। এতে আলহাজ্ব শেখের সমর্থক মুমিনুল ও হোসেন আর আদিলের সমর্থক বাবু আহত হন।
পৌর কাউন্সিলর ও জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব শেখ বলেন, নির্বাচনী সভা শেষে বের হতেই আমাদের ওপরে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করা হয়। আমি স্থানীয় কাউন্সিলর, জায়গা নিয়ে সমস্যা থাকলে আইনি সমাধান হবে। এরজন্য কেন হামলা করা হবে?
জেলা যুবলীগের দম্পর সম্পাদক জাকারিয়া আদিল বলেন, কাউন্সিলর দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় জমি মালিকদের জিম্মি করে রেখেছে। আজ কারণ ছাড়া তারাই প্রথম হামলা চালায়। আমাদের কেউ তাদের দিকে তেড়ে যায়নি। তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
বগুড়া জেলা যুবলীগের সভাপতি লিটন পোদ্দার বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এখন সবকিছুই ঠিক আছে। কারো দোষ থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বগুড়া সদর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সুজন মিঞা বলেন, যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছিল। খবর পেয়ে এখানে এসেছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এফএ/জেআইএম