দেড়যুগ পর পুনরায় চালু হলো মালঞ্চি স্টেশন
প্রায় দেড়যুগ বন্ধ থাকার পর পুনরায় চালু হয়েছে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত মালঞ্চি রেলস্টেশন।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে স্টেশনমাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান নয়ন যোগদানের পর দুপুর দেড়টায় উত্তরা এক্সপ্রেস স্টপেজ দেওয়ার মাধ্যমে পুনরায় চালু হলো এ স্টেশনটি।
জানা গেছে, ১৯২৭ সালে স্থাপিত হওয়ার পর সঠিকভাবে কর্যক্রম চললেও ২০০৩ সাল থেকে এ স্টেশনের জনবল কমতে শুরু করে। ২০০৬ সালে জনবলশূন্য হয়ে পড়ে স্টেশনটি। এখানে একটি সরাসরি এবং প্ল্যাটফর্ম-সংলগ্ন দুটিসহ মোট তিনটি ক্রসিং লাইন রয়েছে। পয়েন্টসম্যান না থাকায় ক্রসিং লাইনে ট্রেনের গতিপথ পরিবর্তন করা এতদিন সম্ভব হয়নি। এ কারণে সব ট্রেন সরাসরি লাইন দিয়ে চলাচল করতো। এই লাইন নিয়ন্ত্রণ করতো নাটোর ও ঈরশ্বদী স্টেশন। তবে স্টেশনমাস্টারের যোগদানের পর তিনিই তা নিয়ন্ত্রণ করছেন এবং প্ল্যাটফর্ম-সংলগ্ন একটি লাইনে ট্রেন থামছে।
মালঞ্চি স্টেশনের মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান নয়ন জানান, একা থাকার কারণে মাত্র আট ঘণ্টা স্টেশন চালু থাকছে। আগামীতে আরও দুজন স্টেশন মাস্টার যোগদান করলে সবসময় স্টেশনটি চালু থাকবে।
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) সভাপতি প্রভাষক এম. আরিফুল ইসলাম তপু বলেন, এ উপজেলায় কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট ও বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির (বাউয়েট) মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়া, প্রায় দুই শতাধিক স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল ও সরকারি দফতর রয়েছে। স্টেশন চালু হলেও এখানে মাত্র দুইটি ট্রেন থামছে। এ পথে দিয়ে চলাচল করা সব আন্তঃনগর ট্রেন নাটোরের পরে ঈশ্বরদী স্টেশনে থামে। এজন্য যাত্রীদের নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়। কারণ নাটোর থেকে ঈশ্বরদী সুদীর্ঘ পথ। বিধায় নাটোর ও ঈশ্বরদী মাঝখানে মালঞ্চি স্টেশনে ট্রেন গুলির স্টপেজ একান্ত প্রয়োজন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের (পশ্চিমাঞ্চল) মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার মুঠোফোনে জানান, স্টেশনটি উন্নয়নে কাজ চলছে। আরেকটি প্ল্যাটফর্ম নির্মাণসহ যাবতীয় কাজ দ্রæত বাস্তবায়নে কাজ চলছে।
রেজাউল করিম রেজা/এএইচ/জেআইএম