লাঙ্গলের জন্য প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেন মা, মাঠে লড়বেন মেয়ে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন আফরুজা বারী। জাতীয় পার্টিকে এ আসনটি ছেড়ে দেওয়ায় মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন তিনি। তবে আফরুজা বারী মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন তার মেয়ে আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন। এতে গাইবান্ধা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগারকে ঢেঁকি প্রতীক দেওয়া হয়।
ত্রুটিপূর্ণ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় গত ৪ নভেম্বর আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগারের মনোনয়ন বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পান তিনি। এরআগে একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আব্দুল্লাহ নাগিদ নিগার ও তার মেয়ে মিসেস আফরুজা বারী মনোনয়নপত্র জমা দেন।
আসনটিতে আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগারসহ প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন ১০ জন। তারা হলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বর্তমান এমপি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির আইরিন আক্তার, জাসদের গোলাম আহসান হাবীব মাসুদ, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) ওমর ফারুক সিজার, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আবু বক্কর সিদ্দিক, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের খন্দকার রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ফখরুল হাসান প্রামাণিক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মর্জিনা খান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়নাল আবেদীন।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগারের ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম জানান, গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে ১৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাইয়ে ১১ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পান একজন। রোববার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে আওয়ামী লীগ ও জাকের পার্টির প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। বর্তমানে আসনটিতে ১০ প্রার্থী ভোটযুদ্ধে লড়াই করবেন।
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনটি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার একটি পৌরসভা ও পনেরটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এ আসনে ভোটার রয়েছে তিন লাখ ৯১ হাজার ৫৩১ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৯৩ হাজার ১৬৬ ও নারী ভোটার এক লাখ ৯৮ হাজার ৩৬৫ জন।
শামীম সরকার শাহীন/এসআর/এমএস