মুন্সিগঞ্জে ডুবে যাওয়া ট্রলার শনাক্ত, এখনো নিখোঁজ ২
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে পদ্মার শাখা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় এখনো দুজন নিখোঁজ রয়েছেন। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার শুরু হয়েছে।
এদিকে দ্বিতীয় দিনের অভিযানে দুর্ঘটনার ১৪ ঘণ্টা পর ডুবে যাওয়া ট্রলারটি নদীর ৩০ ফুট গভীরে শনাক্ত হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে একটি মোটর সাইকেল।
নিখোঁজরা হলেন, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হারুনুর রশিদ (৬০) ও রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার বাসিন্দা লতিফুর রহমানের ছেলে মাহফুজুর রহমান (৩৫)।
সরেজমিনে দেখা যায়, নদীর কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে উদ্ধার অভিযান চলছে। অভিযানে অংশ নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবরিদল নদীর তলদেশে অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: পদ্মায় বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবি, ২ মরদেহ উদ্ধার
নিখোঁজ মাহফুজুর রহমানের এক বন্ধু জানান, ঢাকা থেকে টঙ্গীবাড়িতে খালার বাড়িতে ঘুরতে এসেছিলেন মাহফুজুর রহমান। ট্রলারডুবির ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা সবাই উদ্ধার হলেও নিখোঁজ রয়েছেন তিনি।
নিখোঁজ হারুনুর রশিদের স্বজন আব্দুর রব মোল্লা জানান, হাসাইল পদ্মার চরে আলু চাষ করতেন হারুনুর রশিদ। গতকাল তিনি সে জমিতে এসেছিলেন। বাড়িতে ফেরার জন্য নদী পারাপারের ট্রলারে উঠেছিলেন তিনি। এরপর থেকে তারা খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের উপ-পরিচালক ওবায়দুল করিম জানান, বৈরী আবহাওয়ায় গতকাল অভিযান বন্ধ করা হয়। সকাল ৬টায় দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। দুই ঘণ্টা অভিযানের মাথায় বেলা ৮টার দিকে ডুবে যাওয়ার ট্রলারটি নদীর তলদেশে শনাক্ত করা হয়। তার দিয়ে সেটি বেঁধে ফেলা হয়েছে। ডুবন্ত ট্রলারটির পাশে একটি মোটর সাইকেল পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে আবদুল্লাহ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ হাসনাত জানান, বাল্কহেডের সুকানি-মাস্টারসহ যারা ছিলেন তাদের সন্ধানে অভিযান চলছে। তাদের গ্রেফতার এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হবে।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় টঙ্গীবাড়ীর হাসাইল সংলগ্ন পদ্মা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ৪০ যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার ডুবে যায়। দুর্ঘটনার পর অধিকাংশ সাঁতরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ হন বেশকয়েকজন । পরে ঘটনাস্থল থেকে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আরাফাত রায়হান সাকিব/এমএস