মঈনউদ্দিনের চেয়ে সম্পদ বেশি তার স্ত্রীর
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশিত: ০৮:৪৫ এএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আসুগঞ্জ) আসনে এবারও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন মো. মঈনউদ্দিন। মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন। নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী তার আয় বেড়েছে। তবে তার তুলনায় সম্পদ বেশি স্ত্রীর।
মঈনউদ্দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সহসভাপতি। তিনি আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর পশ্চিম ইউনিয়নের মৈশান গ্রামের বাসিন্দা।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা জয়লাভ করেন। সেই নির্বাচনে উকিল আব্দুস সাত্তারের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈনউদ্দিন। তিনি সাড়ে আট হাজার ভোটে সাত্তারের কাছে পরাজিত হন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী মঈনউদ্দিনের আয় বেড়েছে। আর তার স্ত্রীর নগদ অর্থ বেড়েছে ৯ গুণ। হলফনামায় মঈনউদ্দিনের বছরে আয় প্রায় ১৬ লাখ টাকা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় তার আয় ছিল ১৩ লাখ টাকা।
মঈনউদ্দিনের কাছে নগদ ১২ লাখ ৯৩ হাজার ৭০ টাকা রয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ছিল ৪০ লাখ টাকা। তার স্ত্রীর কাছে নগদ আছে ৪৮ লাখ এক হাজার ৭৬৮ টাকা, বিগত নির্বাচনের সময় ছিল পাঁচ লাখ ৩৪ হাজার ৪২১ টাকা। অর্থাৎ পাঁচ বছরে বেড়েছে প্রায় ৯ গুণ।
পোস্টাল ও সেভিংস অ্যাকাউন্টে মঈনউদ্দিনের রয়েছে ১০ লাখ টাকা, ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় ছিল ১৫ লাখ টাকা। সেভিংসে তার স্ত্রীর ছিল ৩৩ লাখ টাকা, পাঁচ বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ লাখ ৬৯ টাকা।
মঈন ও তার স্ত্রী পাঁচ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার এবং ১০ লাখ টাকার মোটরযান রয়েছে। স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে ১১ লাখ ২০ হাজার টাকার অকৃষি জমি ও স্ত্রীর নামে সাড়ে ১১ লাখ টাকার অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে স্বতন্ত্র এ প্রার্থীর। ঋণ আছে ৪২ লাখ ৮৩ হাজার ২২১ টাকার, যা আগের নির্বাচনের সময় ছিল ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৯০৯ টাকা।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসআর/এএসএম