এম এ রাজ্জাকের হলফনামা থেকে যা জানা গেলো

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চুয়াডাঙ্গা
প্রকাশিত: ০২:১৬ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩

কোম্পানির ৫০৭ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন এম এ রাজ্জাক খান। ঋণের বিপরীতে তার অস্থাবর ও স্থাবর সম্পদ রয়েছে ২৮ কোটি ৪৯ লাখ ৭৪ হাজার টাকার।

এম এ রাজ্জাক আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য। মিনিস্টার ও মাইওয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। থাকেন ঢাকায়। মাঝে মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় আসেন।

রাজ্জাক খান চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের পলাশপাড়ার মৃত আফজাল খানের ছেলে। ব্যবসার কারণে তিনি ঢাকায় বসবাস করেন দীর্ঘদিন।

হলফনামা ঘেঁটে জানা যায়, এম এ রাজ্জাক খানের শিক্ষাগত যোগ্যতা এমফিল। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। আয়ের উৎস দেখিয়েছেন বিভিন্ন খাত। তার ওপর নির্ভরশীলদের আয়ের খাতও দেখিয়েছেন। বছরে ভাড়া পান ৯ লাখ ২৩ হাজার ৭২০ টাকা, ব্যবসা থেকে আয় দুই লাখ ৭ হাজার ৩৯১ টাকা, শেয়ার-ব্যাংক আমানত থেকে ২১ হাজার ৮১ টাকা ও অন্যান্য পারিতোষিক ৬০ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। মোট তার বছরে আয় ৭২ লাখ ৬ হাজার ১৯২ টাকা। তার ওপর নির্ভরশীলদের বার্ষিক আয় ৬৮ লাখ ৪২ হাজার ৪৯৩ টাকা।

এম এ রাজ্জাকের অস্থাবর সম্পদ রয়েছে ২০ কোটি ৬৭ লাখ ৬৩ হাজার ৭৬৩ টাকার। স্ত্রীর রয়েছে ১৪ কোটি ২৮ লাখ ৮০ হাজার ৭৪২ টাকার সম্পদ।

রাজ্জাক খানের নগদ ৭৯ লাখ ১১ হাজার ৭৩৩ টাকা, ব্যাংকে জমা ২৭ লাখ ৬২ হাজার ৩০ টাকা; বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জ, কোম্পানির শেয়ার ১৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, যানবহন ১০ লাখ টাকার, সোনা ও অন্যান্য অলংকার এক লাখ ৩০ হাজার টাকার, ইলেকট্রনিকস সামগ্রী চার লাখ ৫০ হাজার টাকার ও আসবাবপত্র আট লাখ ১০ হাজার টাকার।

তার স্ত্রীর রয়েছে নগদ চার লাখ ১৫ হাজার ৪৮১ টাকা। এছাড়া ব্যাংকে জমা ৮১ লাখ ৪৪ হাজার ২৬১ টাকা; বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জ ও কোম্পানির শেয়ার ১২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ৭০ লাখ, স্বর্ণালংকার সাড়ে ৫৪ ভরি (মূল্য চার লাখ ২০ হাজার টাকা), ইলেকট্রনিকস সামগ্রী এক লাখ ৪৮ হাজার টাকা, আসবাবপত্র এক লাখ ৫৩ হাজার টাকা ও কোম্পানিকে ঋণ প্রদান ২৩ লাখ টাকা।

রাজ্জাক খানের সাত কোটি ৮২ লাখ ১০ হাজার ৮৪০ টাকার স্থাবর সম্পদ রয়েছে। স্ত্রীর রয়েছে এক কোটি ৮৬ লাখ ৪৪ হাজার টাকার। ১৪.৫৬০ একর কৃষিজমির মূল্য দেখানো হয়েছে দুই কোটি ৭৪ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকা, অকৃষি জমি তিন কোটি ২২ লাখ ১ হাজার ২০৫ টাকা এবং ঢাকার উত্তরা ও চুয়াডাঙ্গায় বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট এক কোটি ৮৬ লাখ ৪ হাজার টাকার। স্ত্রীর রয়েছে তিন লাখ ২৪ হাজার টাকার অকৃষি জমি। এছাড়া ঢাকার উত্তরা ও চুয়াডাঙ্গায় এক কোটি ৮৩ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে।

এম এ রাজ্জাক খান কোম্পানির চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর হওয়ার সুবাদে দেশের তিনটি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন। তার নামে ইসলামী ব্যাংকে ২৫২.৫ কোটি টাকা, প্রিমিয়ার ব্যাংকে ২৩০ কোটি টাকা ও আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ২৪ কোটি ২০ লাখ টাকার ঋণ রয়েছে।

হুসাইন মালিক/এসআর/জিকেএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।