নারায়ণগঞ্জে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে গুলি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত: ১১:০০ এএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে পূর্ব দ্বন্দ্বের জেরে কামরুল হাসান তুষার নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে গুলির অভিযোগ উঠেছে। বাম পায়ের গোড়ালিতে গুলিবিদ্ধ হন তিনি।

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা আয়নাল হকের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া বাজারে অবস্থিত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান তুষার ও স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা আরাফাত এবং রাব্বী মিলে খিচুড়ির আয়োজন করেন। এ সময় রাব্বী বাইরে থেকে পানি আনতে গেলে কার্যালয়ের কিছু অদূরে দেখতে পান ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেলের নেতৃত্বে তিনটি মোটরসাইকেলে ৯ জন ব্যক্তি কার্যালয়ের দিকে যান। পরে গোলাগুলির আওয়াজ শোনা যায়।

রাব্বী বলেন, সোহেল মেম্বার ও মাসুদ পিস্তল বের করেন। এ সময় আমি দৌড়ে গিয়ে কার্যালয়ে থাকা তুষার ও আরাফাতকে বিষয়টি বলার সঙ্গে সঙ্গে তারা দৌড়ে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেন সংলগ্ন মেহগিনির বাগানে আশ্রয় নেন। তাতেও রক্ষা পাননি তুষার। এ সময় তুষারকে লক্ষ্য করে হত্যার উদ্দেশ্যে পেছন থেকে পিস্তল দিয়ে ৭-৮ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। একটি গুলি তুষারের বাম পায়ের গোড়ালিতে লাগে। আহত অবস্থায় তুষার তার নানা শ্বশুর আব্দুল করিমের বাড়ি গিয়ে আশ্রয় নেন।

তুষার বলেন, মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সোহেল মেম্বারের সঙ্গে আমাদের বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে সম্প্রতি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ারকে রাতের আঁধারে কোপানো হয়েছিল। আমিসহ স্থানীয় আরও অনেকেই এ ঘটনার প্রতিবাদ করেছি। এ নিয়ে থানায় মামলাও হয়েছে। মূলত ওই ঘটনার জেরে সোহেল ও তার ভাই সাইফুল মাসুদের হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি চালায়। কিন্তু আমি প্রাণে বেঁচে যাই। তবে আমার জীবন নিয়ে শঙ্কায় আছি। যে কোনো সময় আমাকে হত্যা করা হতে পারে।

এ বিষয়ে সোহেলের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কলে দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

তবে আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, কামরুল হাসান তুষার বর্তমানে সুস্থ আছেন। আল্লাহ তাকে রক্ষা করেছেন। এলাকার পরিস্থিতিও এখন স্বাভাবিক। আর ঘটনার পর থেকেই ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল পলাতক আছেন।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান জাগো নিউজকে বলেন, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে। পাশাপাশি পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।

এর আগে গত ২ অক্টোবর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন রাতে বালিয়াপাড়া বাজার থেকে রিকশায় বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে বাড়ির কিছু অদূরে মুখোশধারী চার-পাঁচজন দুর্বৃত্ত হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। ওই সময় দেলোয়ারকে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়। এ ঘটনায় তার এক ভাই বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য সোহেলসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন।

মোবাশ্বির শ্রাবণ/এসজে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।