রেজাউলের নগদ টাকা কমলেও ৪ গুণ বেড়েছে ব্যাংকে, স্ত্রীর দু-ই বেড়েছে
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশিত: ০৯:২২ এএম, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী রেজাউল ইসলাম ভূঞা। তিনি এ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনেও মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন।
রেজাউল ইসলাম ভূঞা জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব পদে আছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী ছিলেন।
নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামায় অনুযায়ী রেজাউল ইসলামের নগদ টাকা কমলেও ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা টাকা বেড়েছে চার গুণ। তবে তার নগদ ও ব্যাংকে জমা টাকা বেড়েছে।
২০১৮ সালের নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে দাখিল করা হলফনামায় অনুযায়ী রেজাউল ইসলামের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল ২২ লাখ ৩৯ হাজার ৭৩৬ টাকা, আর তার স্ত্রীর ছিল দুই লাখ ১৭ হাজার টাকা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় রেজাউলের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ৮৬ লাখ ২৭ হাজার ৪৩৬ টাকা, যা ২০১৮ সালের তুলনায় প্রায় চার গুণ। আর তার স্ত্রীর জমা আছে ১৯ লাখ ৯৩ হাজার ৮৫৬ টাকা, যা আগের তুলনায় ৯ গুণ।
রেজাউলের কাছে গত নির্বাচনে নগদ দেড় লাখ টাকা থাকলেও এবার আছে ৪৯ হাজার ৩২০টাকা। তার স্ত্রীর কাছে নগদ ছিল ২৫ হাজার টাকা, এবার হলফনামা অনুযায়ী তার স্ত্রীর কাছে নগদ আছে দুই লাখ টাকা।
পোস্টাল, সেভিংস ও সঞ্চয়পত্রে রেজাউলের কোনো টাকা আগেও ছিল না, এবারও নেই। তবে গত নির্বাচনে তার স্ত্রীর নামে জমা থাকা এ খাতে ১২ লাখ টাকা থাকলেও এবার সেই টাকা কমে ৫ লাখ ৫১ হাজার ৯৭৯ টাকায় দাঁড়িয়েছে। রেজাউলের ব্যবসায় পুঁজি আগে ছিল ৬ লাখ, তা বেড়ে ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৮৮৭ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে।
আয়ের উৎস হিসেবে কৃষি থেকে বছরে পান ৩ লাখ ১০হাজার ৮০০ টাকা, যা তিনি আগেও পেতেন। তার ব্যবসা থেকে আগে বছরে লাভ পেতেন ১০ লাখ ১৪ হাজার ২০০টাকা, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৮০ হাজার ৩৩০ টাকা। আগে ব্যাংক ও ইনস্যুরেন্স থেকে লাভ না পেলেও এখন বছরে এক লাখ ২০ হাজার ৫৫৭ টাকা পাচ্ছেন।
তবে রেজাউল ইসলাম ভূঞার স্থাবর সম্পত্তি বাড়েনি। পাঁচ বছর আগে নিজের ক্রয় করা এবং পৈতৃক সম্পদ হিসেবে যে জায়গা, দোকান ফ্ল্যাট ছিল তা-ই আছে।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসজে/এএসএম