এমপি শাহদাবের সম্পদ তেমন না বাড়লেও বেড়েছে স্ত্রীর
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী। তিনি ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং প্রয়াত সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছেলে। হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, শাহদাব আকবরের সম্পদ তেমন না বাড়লেও বেড়েছে স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামায় শাহদাব আকবর উল্লেখ করেছেন, কৃষিখাতে তার কোনো আয় নেই। শেয়ার, সঞ্চয়/ব্যাংক আমানত এক লাখ ৩২ হাজার ১০১ টাকা। সংসদ সদস্য হিসেবে বেতনভাতা ১২ লাখ ৬২ হাজার ২ টাকা, প্রাইভেট কোম্পানি থেকে পারিতোষিক ২০ লাখ টাকা।
অস্থাবর সম্পদের বিবরণীতে জানিয়েছেন, নগদ টাকা আছে ২৯ লাখ ১২ হাজার ১৯৯ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ১৫ লাখ ৫ হাজার ৭৪৮ টাকা, স্ত্রীর নামে ৯ লাখ ২৩ হাজার ৯৭৫ টাকা।
বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ার ২২ লাখ ৪৫ হাজার ৭০০ টাকা। পোস্টাল, সেভিংস, সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানত বিনিয়োগ ৯১ হাজার ১৫৪ টাকা। স্ত্রীর নামে ৫১ হাজার ২০০ টাকা। নিজ ব্যবহৃত গাড়ির মূল্য দেখিয়েছেন ৪৩ লাখ ৮৭ হাজার ৭২২ টাকা। নৌকার এ প্রার্থীর নিজের নামে কোনো সোনা নেই বলে উল্লেখ করেছেন। তবে স্ত্রীর রয়েছে ৮০ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার। এছাড়া ছয় লাখ ৫০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিকস সামগ্রী ও স্ত্রীর নামে ৫০ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে।
স্থাবর সম্পদের বিবরণীতে দেখিয়েছেন, তার কৃষিজমি নেই। তবে চার লাখ ২৯ হাজার টাকা মূল্যের অকৃষি জমি রয়েছে। স্ত্রীর নামে রয়েছে ৬১ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের অকৃষি জমি। নিজের নামে নেই কোনো ফ্ল্যাট। তবে স্ত্রীর নামে ৬৭ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট রয়েছে। দায়দেনা বিবরণীতে ব্যক্তিগত ও ব্যবসা খাতে সাত কোটি ৪৩ লাখ ৯৪ হাজার ১০০ টাকা দেখিয়েছেন তিনি।
ফরিদপুর-২ আসনের এমপি ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুর পর উপ-নির্বাচনে ওই আসনে এমপি নির্বাচিত হন তার ছেলে শাহদাব আকবর। ওইসময় নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, শুধু ব্যবসা থেকে আয় দেখানো হয়েছিল তিন লাখ ৬ হাজার ৭৭১ টাকা। অস্থাবর সম্পদ হিসেবে নিজ নামে নগদ টাকা দেখান ৩৪ লাখ ৪৩ হাজার ১৯ টাকা। স্ত্রীর নামে দেখিয়েছিলেন ১০ লাখ ৬৮ হাজার ৪৫৪ টাকা।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত টাকার পরিমাণ ছিল এক লাখ ১৯ হাজার ১৮০ টাকা। স্ত্রীর নামে ছিল ১৭ লাখ ৬৬ হাজার ৩০৭ টাকা। এবার স্ত্রীর নামে সঞ্চয় ৫১ হাজার ২০০ টাকা, ৮০ হাজার টাকার সোনা ও ৫০ হাজার টাকার আসবাবপত্র দেখানো হয়েছে।
স্থাবর সম্পদের বিবরণীতে নিজ নামে কিছু না দেখালেও স্ত্রীর নামে ৬৭ লাখ ২০ হাজার টাকার ফ্ল্যাট দেখানো হয়েছে। দায়দেনার বিবরণীতে ব্যক্তিগত ও ব্যবসা খাতে ছয় কোটি ১০ লাখ ৩৩ হাজার ৭৬২ টাকা দেখিয়েছেন শাহদাব আকবর।
এন কে বি নয়ন/এসআর/জিকেএস