শীত নামেনি পঞ্চগড়েও

সফিকুল আলম
সফিকুল আলম সফিকুল আলম , জেলা প্রতিনিধি পঞ্চগড়
প্রকাশিত: ০৭:১৭ পিএম, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩

হেমন্তের হিমশীতল বাতাস নেই। নেই রাতের ঘন কুয়াশাও। সকাল হতে না হতেই রোদের তীব্রতা। আবহাওয়ার এই বিরূপ আচরণে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে এখনো শীতের তীব্রতা শুরু হয়নি। সপ্তাহজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, রাতে তাপমাত্রা কমলেও কয়েক বছরের তুলনায় এবার শীতের অনুভূতি কম। বর্তমানে দিনের তাপমাত্রা ৩০ থেকে ৩১ ডিগ্রিতে ওঠানামা করছে। রাতে ১৩ থেকে ১৪ ডিগ্রিতে নেমে আসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, সোমবার সকালে তেঁতুলিয়ায় সর্বোচ্চ ৩০ এবং সর্বনিম্ন ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। গত বছর ডিসেম্বরের শুরু থেকেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল। দিনের এই সময়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ থেকে ২৯ ডিগ্রিতে নানায় শীতের তীব্রতা অনুভূত হতো। কিন্তু বর্তমানে ঘন কুয়াশা এবং হিমশীতল বাতাস না থাকায় রাতে তাপমাত্রা কমে গেলেও তেমন শীত লাগে না। দিনে রোদের কারণে বেশ গরম অনুভূত হচ্ছে।

এদিকে শীতের শুরু থেকে দিনের তাপমাত্রা বেশি থাকায় গরম কাপড়ের ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় মন্দা চলছে। তারা চাহিদামতো ক্রেতা পাচ্ছেন না। ফুটপাতের পুরোনো ও গরম কাপড় ব্যবসায়ীরা অলস সময় পার করছেন।

দিনে গরম এবং রাতে শীতের বৈরী আবহাওয়ার কারণে বেড়েছে শীতজনিত রোগবালাই। পঞ্চগড় আধুনক সদর হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

শহরতলির কামাতপাড়া মহল্লার সবজিচাষি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, এই সময় গত বছরও অনেক শীত ছিল। এবার শীত নেই বললেই চলে। রাতে কিছুটা ঠান্ডা মনে হলেও দিনে প্রচণ্ড গরম থাকে। ফ্যান চালাতে হয়। এবার শীত কম কেন সেটা আমরা জানি না।

উপজেলা সদরের হাফিজাবাদ এলাকার কৃষি শ্রমিক রবিউল বলেন, কয়েক দিন ধরে সন্ধ্যার পর বেশ ঠান্ডা লাগে। সকালে মাঠে কাজ করতে গেলেও মনে হয় শীত নেমে গেছে। কিন্তু সকাল ৭-৮টার মধ্যে সূর্য ওঠে যায়। দুপুরের দিকে গরমে থাকা যায় না। গত বছর এই সময়ে অনেক ঠান্ডা ছিল। এবার মনে হয় শীত আসতে আরও দেরি আছে।

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মো. মনোয়ার ইসলাম বলেন, প্রতি বছর এই সময় শীতজনিত রোগের প্রকোপ দেখা দেয়। এবারও শীতের শুরু থেকেই এমন রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, চলমান নিম্নচাপের জন্য বর্তমানে আকাশ পরিষ্কার। দু-তিনদিন ধরে কোনো কুয়াশা নেই। কুয়াশা না থাকার কারণে রাতে তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে। আর দিনে সূর্যের তাপ সরাসরি শরীরে লাগার কারণে গরম অনুভূত হচ্ছে। তবে ডিসেম্বরের শেষ দিকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেতে পারে।

এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।