সেতু পেয়ে শোকরানা সভা ও দোয়া
অবশেষে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সেতু পাচ্ছেন অন্তত ২০ গ্রামের মানুষ। উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের ঝিনাই নদীর ওপর নির্মিত শুয়াকৈর ব্রিজটি বন্যায় ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে ছিলেন প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। সম্প্রতি ব্রিজটির ভাঙা অংশ পুনর্নির্মাণের জন্য অনুমোদন দিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। এতে খুশির জোয়ার বইছে দুই পাড়ের মানুষের মাঝে। এ উপলক্ষে বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে শোকরানা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন এলাকাবাসী।
শোকরানা সভায় বক্তব্য রাখেন কামরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, পৌর কাউন্সিলর সাখাওয়াত আলম মুকুল, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এ কে এম আশরাফুল ইসলাম, সহসভাপতি হাবিবুর রহমান মানিক প্রমুখ। এ সময় দোয়া পরিচালনা করেন শুয়াকৈর উত্তরপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আমিনুল ইসলাম।
এলাকাবাসী জানায়, ২০২০ সালের ২১ জুলাই দুপুরে বন্যার প্রবল স্রোতে শুয়াকৈর ব্রিজের দুটি পিলারসহ ২০ মিটার দৈর্ঘ্যের দুটি গার্ডার প্রায় এক ফুট দেবে যায়। একইদিন রাতে ব্রিজের মাঝের অংশের ৭ নম্বর পিলার এবং ৬ ও ৭ নম্বর স্প্যানের ৪০ মিটার পানির তোড়ে নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এতে সরিষাবাড়ী ও মাদারগঞ্জ উপজেলার ১৭ থেকে ২০টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ দুর্ভোগে পড়েন। এলাকাবাসী ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে বারবার কর্মসূচি পালন করেন। এ বিষয়ে জাগো নিউজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশিত হয়।
এদিকে সম্প্রতি বিষয়টি আমলে নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। গত ২৭ নভেম্বর (সোমবার) এলজিইডির প্রকল্প পরিচালক কামরুল আহসান ব্রিজটির ভাঙা অংশ পুনর্নির্মাণের অনুমোদন দেন।
শুয়াকৈর গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এ কে এম আশরাফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ২০০৩-০৪ অর্থবছরে শুয়াকৈর (নতুন বাজার) এলাকায় ঝিনাই নদীর ওপর দুইশো মিটার দৈর্ঘ্যের ঝারকাটা ব্রিজটি নির্মিত হয়। অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে এটি নির্মাণের ১৪ বছরের মাথায় মাঝখানে ভেঙে নদীতে বিলীন হয়। এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে স্থানীয় এমপি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের প্রচেষ্টায় ব্রিজটির ভাঙা অংশ পুনর্নির্মাণের অনুমোদন হয়েছে। এতে এলাকাবাসীর মনে আনন্দ বইছে এবং খুশিতে দোয়া ও শোকরানা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, সেতুটি পুনর্নির্মাণের অনুমোদন হয়েছে। শিগগিরই টেন্ডার আহ্বান করা হবে।
এফএ/এমআরএম